নয়া দিল্লি: এক করোনায় রক্ষে নেই, দোসর হয়ে আবার আতঙ্ক বাড়াচ্ছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা কৃষ্ণ ছত্রাক। করোনার ক্ষেত্রে অবশ্য যে ভুল হয়েছিল, তার পুনরাবৃত্তি ফের একবার হোক, সেটা চাইছে না কেন্দ্রীয় সরকার। তাই কীভাবে এই নতুন রোগের মোকাবিলা করা যায়, তার উপায় এ দিন বাতলে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। ব্ল্যাক ফ্যাঙ্গাস নামক এই রোগকে বৈজ্ঞানিক ভাষায় মিউকরমায়োসিসও বলা হয়ে থাকে।
এই নতুন রোগে সংক্রমণের হার এখনও চিন্তাজনক নয় ঠিকই। কিন্তু মহারাষ্ট্রের বেশ কিছু ক্ষেত্রে করোনা সেরে ওঠার পর এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। ভয়ের বিষয়টা হচ্ছে, এই রোগের ক্ষেত্রে মৃত্যুর হার অনেকটাই বেশি। এই অবস্থায় সচেতনতা এবং ভাইরাসের দ্রুত চিহ্নিতকরণের উপরই জোর দিতে বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ কী, এবং উপসর্গ টের পাওয়া গেলে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত তাও এ দিন জানিয়েছেন তিনি।
একপ্রকার ছত্রাক থেকে হওয়া এই সংক্রমণ তাঁদের ক্ষেত্রেই যাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়েছে। যাদের শরীরে পরিবেশের জীবাণুগুলির সঙ্গে যুদ্ধ করার শক্তি কমে যায়, তাঁদের শরীরেই জাঁকিয়ে বসে এই ভাইরাস।
কোমর্বিডিটি, উচ্চ রক্তচাপ, মধুমেহ অর্থাৎ ব্লাড সুগার থাকলে সংক্রণের প্রবণতা বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। দীর্ঘ সময় যাবত কোনও রোগী আইসিইউ-তে থাকলে তাঁর শরীরেও সংক্রমণের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
চোখ লাল হয়ে যাওয়া বা চোখে ব্যথা করা। তার সঙ্গে জ্বর, মাথাব্যথা, কাশি, নিশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া, রক্তবমি এবং মানসিক অস্থিরতা এই রোগের উপসর্গ হতে পারে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। যদিও নাক বন্ধ থাকা এই রোগের কোনও উপসর্গ নয় বলেই তিনি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: প্রতিশ্রুতির চেয়ে বাংলার কৃষকদের অ্যাকাউন্টে অনেক কম টাকা! বকেয়া আদায়ের লড়াইয়ে মমতা
হাইপারগ্লাইকোমিয়া নিয়ন্ত্রণে রাখুন। যে ডায়বেটিস রোগীরা সদ্য করোনা থেকে সেরে উঠেছেন তাঁরা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখুন। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে পরিমিত স্টেরয়েড ব্যবহার করুন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শে অ্যান্টি বায়োটিক বা অ্যান্টি ফ্যাঙ্গাল ওষুধ নিন।
কোনও ধরনের উপসর্গ দেখা গেলে তা এড়িয়ে যাবেন না। নাক বন্ধ হলে বা সর্দি লাগলেই সেটা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের উপসর্গ এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই। কোনও অসুবিধা বুঝতে পারলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। উপসর্গ অনুভূত হলে মূল্যবান সময় না নষ্ট করে পরীক্ষা করান।
আরও পড়ুন: অক্সিজেন সিলিন্ডার, জীবনদায়ী ওষুধ নিয়ে হয়রানির শিকার? সরাসরি ফোন করুন কলকাতা পুলিশের এই নম্বরে