হায়দরাবাদ: মহাত্মা গান্ধীর দেখানো পথ অনুসরণ করে যারা পরিবর্তন আনেন, তারাই আসল ‘হিরো’। এইরকমই এক হিরো হলেন মাই হোম গ্রুপ অব কম্পানির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ডঃ রামেশ্বর রাও জুপালি। তেলেঙ্গানায় সংস্কার ও পরিবর্তনের অন্যতম কাণ্ডারী ডঃ জুপালিকে শুক্রবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি হায়দরাবাদে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে “চ্যাম্পিয়নস অব চেঞ্জ তেলেঙ্গনা” সম্মানে ভূষিত করা হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি কেজি বালাকৃষ্ণান, সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি, এনএইচআরসির চেয়ারম্যান প্রমুখ। এক্ষেত্রে বলা রাখা ভাল, ‘চ্যাম্পিয়ন অব চেঞ্জ’ হল এমন একটি সম্মান, যা মহাত্মা গান্ধীর আদর্শকে অনুসরণ করে সমাজে পরিবর্তন সৃষ্টিকারী কাজের জন্য দেওয়া হয়। জুরি সদস্য হিসাবে কেজি বালাকৃষ্ণান ও সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতিরাই এই সম্মান প্রাপককে বেছে নেন।
শুক্রবার এই সম্মান পেয়ে ডঃ রামেশ্বর রাও বলেন, “গোটা দেশজুড়ে বাজারে মন্দা চললেও, অন্যতম দুটি ক্ষেত্র-রিয়েল এস্টেট ও তথ্য প্রযুক্তি তেলেঙ্গনায় দারুণ উন্নতি করছে। এই চাহিদাব বৃদ্ধি সম্ভব হয়েছে বিনিয়োগকারীদের সমর্থন ও তেলেঙ্গনা সরকারের বাণিজ্য-বান্ধব নীতি গ্রহণের জন্যই।”
‘চ্য়াম্পিয়নস অব চেঞ্জ তেলেঙ্গনা’ হল এমন একটি সম্মান, যা রাজ্যের বিশিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলিকে দেওয়া হয় সমাজে মূল্যবোধ, সাহসিকতা, সমাজসেবা ও উন্নয়নের চিন্তাধারা প্রচারের জন্য। ইতিহাসের পাতায় যে সকল স্বাধীনতা যোদ্ধা, যুগান্তকারী নেতা ও সমাজবাদীদের নাম উল্লেখ রয়েছে, যারা দেশের উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন, এমন অনেকেই তেলেঙ্গনার বাসিন্দা ছিলেন। চ্যাম্পিয়নস অব চেঞ্জ নামক এই সম্মানও তেলেঙ্গনার সেই সমস্ত চ্যাম্পিয়নদের সাফল্য উদযাপন করতেই দেওয়া হয়।
আইএফআইই-র তরফে প্রতিবছরই ‘চ্যাম্পিয়নস অব চেঞ্জ’ পুরস্কার আন্তর্জাতিক, জাতীয় ও রাজ্যস্তরে আয়োজন করা হয়। সাধারণত এই পুরস্কার রাষ্ট্রপতি, উপ-রাষ্ট্রপতি, রাজ্যপাল বা দেশের উল্লেখযোগ্য কোনও ব্যক্তি প্রদান করে থাকেন। চ্যাম্পিয়ন অব চেঞ্জ সম্মানের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান হলেন নন্দন ঝা।
ডঃ রামেশ্বর রাও ছাড়াও তেলঙ্গনার চ্যাম্পিয়ন অব চেঞ্জ সম্মানে ভূষিত হয়েছেন পদ্মভূষণ সম্মান প্রাপক তথা গ্যাস্ট্রোএন্ট্রোলজিস্ট ডঃ নাগেশ্বর রেড্ডি, ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যান্ড কমার্স অ্যান্ড আইটির ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি জয়েশ রঞ্জন, পদ্মভূষণ সম্মান প্রাপক তথা ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় পিভি সিন্ধু, অভিনেতা মুকেশ ঋষি, তেলুগু অভিনেতা মহেশ বাবু, আল্লু অর্জুন এবং লোহিয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান কানহাইয়ালাল লোহিয়া।
এছাড়াও সঙ্গীতশিল্পী তথা সুরকার কোমান্দুরি রামাচারী, ডঃ সুকান্ত কুমার জানা, ডঃ পেড্ডিরেড্ডি শ্রীধর, নারশি রেড্ডি পোশাম, বি মহেন্দর রেড্ডি, ডঃ পোন্নি এম কনসেকাও, শেষাদ্রী ভাঙ্গালা, নরেন্দ্র রাম নাম্বুলা, সরস্বতী অন্নদাতা, ভার্গবী আমিরিনেনি, চিলাগনি সম্পত কুমা স্বামী, স্টিফেন রবীন্দ্র, জ্যোৎস্না রেড্ডি, সুধারানি রেড্ডি, শশী জালিগামা, মনীশ দোশী, দিরিশালা নরেশ চৌধুরী, ডঃ রাজা থাঙ্গাপ্পান প্রমুখরাও উপস্থিত ছিলেন।