Aadhaar Card: ভোট দেওয়ার জন্য কি আধার কার্ড বাধ্যতামূলক? স্পষ্ট করল নির্বাচন কমিশন

Jyotirmoy Karmokar | Edited By: Sukla Bhattacharjee

Feb 26, 2024 | 10:34 PM

TMC Delegates: নির্বাচন ব্যয় সংক্রান্ত যে কমিটি তৈরি হয়েছে, তা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। তাঁদের অভিযোগ, নির্বাচন ব্যয় সংক্রান্ত যে কমিটি তৈরি করা হয়েছে, তাতে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির প্রাধান্য বেশি। ইডি, GST, IT excise রয়েছে। এই বিষয়ে এদিন তৃণমূলের তরফে নির্বাচন কমিশনে একটি স্মারকলিপিও দেওয়া হয়।

Aadhaar Card: ভোট দেওয়ার জন্য কি আধার কার্ড বাধ্যতামূলক? স্পষ্ট করল নির্বাচন কমিশন
আধার কার্ড।

Follow Us

নয়া দিল্লি: আধার কার্ড বাতিল হয়েছে বলে বাংলার বিভিন্ন জেলা থেকে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে, সামনেই লোকসভা নির্বাচন। এর মধ্যে আধার কার্ড বাতিল হয়ে গেলে ভোট দেওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। গোটা বিষয়ে অভিযোগ জানাতে এবং সকল নাগরিকের ভোটদানের অধিকার নিশ্চিত করার দাবিতে সোমবার সকালেই জাতীয় নির্বাচন কমিশনের অফিসে (ECI) যায় তৃণমূলের এক প্রতিনিধি দল। তাঁদের সমস্ত অভিযোগ শুনে এবার ভোটদানের ক্ষেত্রে আধার কার্ড বাধ্যতামূলক কি না, তা স্পষ্ট করল জাতীয় নির্বাচন কমিশন।

এদিন সকালে রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলের পাঁচ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল জাতীয় নির্বাচন কমিশনের অফিসে যায়। এই দলে সুখেন্দু শেখর রায় ছাড়াও ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন, সাকেত গোখলে এবং লোকসভার সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল ও সাজদা আহমেদ। বাংলার সাধারণ মানুষের আধার কার্ড বাতিল হওয়ার কারণ জানিয়ে সুখেন্দু শেখর রায় বলেন, “আজও হাজার-হাজার আধার কার্ড বাতিল করা হয়েছে। আজও হয়েছে। আধার আইনের অন্তর্গত নিয়মে বলা হয়েছে বাতিল করার আগে ফিল্ড এনকোয়ারি করতে হবে। কিন্তু, এটা মানা হয়নি। এটা সামাজিক ন্যায় বিচারের পরিপন্থী।” আধার কার্ড বাতিল হওয়ায় ভোটদানের সুযোগ মিলবে কি না, তা নিয়েও অনেকে সংশয়ে রয়েছেন বলে তৃণমূল সাংসদ জানান। যদিও তৃণমূল সাংসদদের আশ্বস্ত করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।

জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ভোট দেওয়ার জন্য আধার কার্ড বাধ্যতামূলক নয়। আধার কার্ড না থাকলেও ভোটার কার্ড বা পরিচয়পত্রের যে কোনও একটি নথি দেখাতে পারলেই ভোট দেওয়া যাবে।

এদিন নির্বাচন ব্যয় সংক্রান্ত যে কমিটি তৈরি হয়েছে, তা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। তাঁদের অভিযোগ, নির্বাচন ব্যয় সংক্রান্ত যে কমিটি তৈরি করা হয়েছে, তাতে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির প্রাধান্য বেশি। ইডি, GST, IT excise রয়েছে। এই বিষয়ে এদিন তৃণমূলের তরফে নির্বাচন কমিশনে একটি স্মারকলিপিও দেওয়া হয়। যদিও তৃণমূল প্রতিনিধিদের আশ্বস্ত করে জাতীয় নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, নির্বাচন ব্যয় সংক্রান্ত কমিটিতে কেন্দ্রের এজেন্সির পাশাপাশি রাজ্যের এজেন্সি ও পুলিশও থাকবে।

অন্যদিকে, চোপড়ায় বিএসএফের তরফে নর্দমা খোঁড়া হয়েছিল। সেই নর্দমায় পড়ে কয়েকজন শিশু প্রাণ হারায়। আবার গত নির্বাচনে শীতলকুচিতে বিএসএফের গুলিতে সাধারণ মানুষের প্রাণ যায়। এই ঘটনায় যাঁরা জড়িত তাঁরা এখনও পুলিশি জেরার মুখোমুখি হননি বলেও এদিন সরব হন তৃণমূল প্রতিনিধিবৃন্দ। এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, সেটা কমিশনকে দেখতে হবে এবং বিএসএফ বা কেন্দ্রীয় এজেন্সি যেন নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে থাকে বলেও দাবি জানায় তৃণমূল। ECI-এর তরফে অবশ্য এই বিষয়েও আশ্বস্ত করা হয়েছে।

Next Article