নয়া দিল্লি: মানসিকতার পরিবর্তনেই ঘটেছে কামাল! সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি), TV9 নিউজ নেটওয়ার্কের বার্ষিক সম্মেলন ‘হোয়াট ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুডে’র মঞ্চে এমনই বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। ‘হোয়াট ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুডে’র এবারের মূল বিষয়,’ভারত: তৈরি পরবর্তী বড় লাফ দিতে’। এই বিষয়ই বলে দিচ্ছে, ভারত গত ১০ বছরে কতটা এগিয়ে এসেছে। ভারত নিজেকে তৈরি করেছে পরবর্তী বড় লাফ দেওয়ার জন্য। তিনি বলেন, এর পিছনে সবথেকে বড় ভূমিকা হল মানসিকতার পরিবর্তনের। তিনি জানান, মানসিকভাবেই যদি কেউ হেরে বসে থাকে তাহলে সে কখনই কোনও বড় লাফ দিতে পারে না। এগোতে পারে না।
কংগ্রেসের নাম না করেই প্রধানমন্ত্রী জানান, ভারতের ক্ষমতার, ভারতীয়দের ক্ষমতার অবমূল্যায়ন করেছিল পূর্ববর্তী সরকারগুলি। তিনি বলেন, “লালকেল্লা থেকে ভারতীয়দের বলা হয়েছিল অলস। ভারতীয়দের নিরাশাবাদী বলা হয়েছিল। বলা হয়েছিল, ভারতীয়রা পরাজয়ের মানসিকতার। বলা হয়েছিল, ভারতীয়রা পরিশ্রম করতে চায় না। দেশের নেতারাই যদি এতটা নিরাশ হন, তাহলে দেশের মানুষের মনে আশার সঞ্চার কোথা থেকে হবে?”
তিনি জানান, এর সঙ্গে ছিল দুর্নীতি, পক্ষাঘাতগ্রস্ত নীতি এবং পরিবারতন্ত্রের বাধা। তাতেই ভারতের বৃদ্ধি থমকে গিয়েছিল। ভারত এক অদ্ভুত অচলাবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল। দেশের মানুষও নিরাশ হয়ে পড়েছিলেন। তারা ভেবেছিলেন, দেশ এভাবেই চলবে। কিন্তু, আজ দেশে দ্রুত জরুরী নীতিগুলি তৈরি করা হয়। নির্ণয়ও নেওয়া হয় দ্রুত। সরকারের মানসিকতার এই বদলের প্রভাব পড়েছে দেশের মানুষের মধ্যেও। গত ১০ বছরে বিশ্বের সেরা পাঁচ অর্থনীতির মধ্যে উঠে এসেছে ভারত। মানসিকতার এই বদলই গত ১০ বছরে কামাল করেছে। একুশ শতকের ভারত আর নিজেকে ক্ষুদ্র ভাবে না। মোদী বলেন, “আজ আমরা বেস্ট করি এবং বিগেস্ট করি।” তিনি আরও বলেন, “আজ গোটা বিশ্বও দেখছে, ভারতের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে চললে তাদেরই লাভ।” তিনি জানান, বিদেশে গেলে এখন তাঁকে শুনতে হয়, ভারত এটা করে ফেলেছে! বহির্বিশ্বের এই বিস্ময়, আজকের পৃথিবীর ‘নিউ নরমাল’ বলে জানালেন তিনি।