Election Commission Meeting: SIR নিয়ে বড় নির্দেশ, বাংলার CEO-র সঙ্গেও দিল্লিতে হল ‘একান্ত বৈঠক’
SIR in West Bengal: প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সিইওদের ভোটার তালিকার বিশেষ ও নিবিড় পরিমার্জন সংক্রান্ত প্রস্তুতির কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। পাশাপাশি, সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে তাঁদের মনে তৈরি হওয়া প্রশ্নেরও যথাযথ উত্তর দিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য শীর্ষ আধিকারিকরা।

নয়াদিল্লি: নতুন মাসে নতুন বৈঠক। কিন্তু লক্ষ্য একটাই। দ্রুত ভোটার তালিকার বিশেষ ও নিবিড় পরিমার্জন বা এসআইআর। আর সেই লক্ষ্যপূরণে বুধবার থেকে একাধিক রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক বা সিইও-দের নিয়ে দিল্লিতে বৈঠকে বসেছিল নির্বাচন কমিশন। উপস্থিত ছিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার এবং দুই নির্বাচন কমিশনার সুখবীর সিং ও বিবেক যোশী।
কী আলোচনা হল?
বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত এই বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। পূর্বপরিকল্পনা মোতাবেক তেমনটাই হয়েছে। বৈঠক শেষে একটি বিবৃতিও জারি করা হয়েছে নির্বাচন কমিশনের তরফে। দু’দিনব্যাপী বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয়ই ছিল SIR ও সেই সংক্রান্ত প্রস্তুতি। উপস্থিত মুখ্য় নির্বাচনী কমিশনার বা সিইও-দের সেই নিয়ে যাবতীয় নির্দেশ দিয়েছেন কমিশনের দিল্লির কর্তারা।
প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সিইওদের ভোটার তালিকার বিশেষ ও নিবিড় পরিমার্জন সংক্রান্ত প্রস্তুতির কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। পাশাপাশি, সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে তাঁদের মনে তৈরি হওয়া প্রশ্নেরও যথাযথ উত্তর দিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য শীর্ষ আধিকারিকরা।
একাংশের মতে, গোটা দেশজুড়ে SIR হবে সেটা ভবিতব্য, কিন্তু আগে কোথায় হবে? সূত্রের খবর, এই রাজ্য নির্ধারণের কাজে ভোটমুখী রাজ্যগুলিতেই বেশি জোর দিচ্ছে কমিশন। দু’দিনব্যাপী এই বৈঠকেও ভোটমুখী রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সিইওদের সঙ্গে আলাদা ভাবে বৈঠক করেছেন কমিশনের শীর্ষ আধিকারিকরা। এই একান্ত বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন বাংলার সিইও মনোজ আগরওয়ালও। এছাড়াও অসম, তামিলনাড়ু, পুঁদুচেরি ও কেরলের সিইওদের সঙ্গেও একান্ত বৈঠক করেছে কমিশন।
অনিচ্ছা বিএলও-দের
এসআইআর আবহের মাঝেই বাংলার ৬০০ জন বিএলও বা বুথ লেভেল অফিসারদের শোকজ নোটিস পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বিএলও-দের একাংশ কেন এসআইআর-র দায়িত্ব নিতে অনীহা দেখাচ্ছেন সেই নিয়ে কারণ দর্শাতে বলেছে কমিশন। সাধারণ ভাবে বিএলও-দের দায়িত্ব নিয়ে থাকেন স্কুল শিক্ষকরা। আর ক্লাস ফাঁকি দিয়ে ভোট পূর্ববর্তী সমীক্ষার দায়িত্ব নিতে নারাজ তাঁরা।
