মুম্বই: ফের সমন অনিল দেশমুখকে। আর্থিক তছরুপ মামলায় ইডি ফের একবার সমন পাঠাল মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখকে। এর আগেও দু’বার তাঁকে হাজিরার জন্য সমন পাঠিয়েছিল ইডি। কিন্তু কোনওবারই হাজিরা দেননি তিনি।
আইপিএস অফিসার পরমবীরকে পুলিশ কমিশনার পদ থেকে সরানোর পরই মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ জানান তিনি। এরপর প্রথমে সিবিআই ও পরে ইডিও পরমবীর সিংয়ের নামে এফআইআর দায়ের করে। গত মাসের শেষদিকেই অনিল দেশমুখের নাগপুরের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি। তাঁর ব্যক্তিগত সচিব ও সহকারী সঞ্জীব পালান্দে ও কুন্দন শিন্ডের বাড়িতেও তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। রাতেই দুজনকে গ্রেফতার করা হয়।
গত ২৬ জুন ইডি দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয় প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখকে। তবে ইডি দফতরে হাজিরা না দিয়ে অতিরিক্ত সময় চেয়ে নেন তিনি। পরে ফের সমন জারি করে ২৯ জুন তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। কিন্তু সেই সমনও এড়িয়ে যান প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এ দিন ফের ইডির তরফে সমন দেওয়া হল অনিল দেশমুখকে। আগামী সোমবার তাঁকে ইডি দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।
সূত্র অনুযায়ী, ইডি আধিকারিকরা ৪ কোটি টাকার তছরূপের খোঁজ পেয়েছেন। এই টাকাই একাধিক ভুয়ো সংস্থার মাধ্যমে অনিল দেশমুখের ট্রাস্ট্রের নামে জমা পড়ে। সূত্রের দাবি, ইডির কাছে যা প্রমাণ রয়েছে, তার মাধ্যমে গ্রেফতার করা সম্ভব অনিল দেশমুখকে।
গত ২৭ জুন সঞ্জীব পালান্দে ও কুন্দন শিন্ডেকে আদালতে তোলা হলে, সেখানে তদন্তকারী সংস্থা জানায়, অনিল দেশমুখের ট্রাস্টে হাত বদল করে টাকা পৌঁছে দিতেন অভিযুক্ত দুইজন। বার মালিক ও ম্যানেজাররাও তাদের বয়ানে জানিয়েছেন যে অম্বানীকাণ্ডে অভিযুক্ত সচিন ভাজ়েই বার মালিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন। জানা গিয়েছে, মুম্বইয়ের বিভিন্ন অর্কেস্ট্রা বার থেকে ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস অবধি মোট ৪ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা আদায় করেছিলেন সচিন ভাজ়ে। তাঁকে টাকা আদায়ের যাবতীয় নির্দেশ দিতেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখই। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাড়িতেই রেস্তরাঁ ও বার মালিকদের নামের তালিকা জমা দেওয়া হত।
আরও পড়ুন: ৭৭.৮ শতাংশ কার্যকরী কোভ্যাক্সিন, রুখবে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টও, তৃতীয় দফার ট্রায়ালে দাবি সংস্থার