নয়া দিল্লি: তৃতীয় দফা ট্রায়ালের ফল সকলের সামনে তুলে ধরল ভারত বায়োটেক (Bharat Biotech)। তাদের তৈরি করোনা ভ্যাকসিন, যা কোভ্যাক্সিন (Covaxin) নামে পরিচিত, তা তৃতীয় দফার ট্রায়ালে ৭৭.৮ শতাংশ কার্যকারিতা দেখিয়েছে বলে জানানো হল সংস্থার তরফে। যদিও এখনও অবধি এই তথ্যের পুনর্বিবেচনা বাকি।
এ দিন ভারত বায়োটেক সংস্থার তরফে টুইট করে জানানো হয়, তাদের তৈরি কোভ্যাক্সিন উপসর্গুযুক্ত করোনা সংক্রমণের বিরুদ্ধে ৭৭.৮ শতাংশ কার্যকারিতা দেখিয়েছে তৃতীয় দফার ট্রায়ালে। অন্যদিকে, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট (Delta Variant)-কেও রুখতে সক্ষম এই ভ্যাকসিন। অতি সংক্রামক এই ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে ৬৫.২ শতাংশ সুরক্ষা দেবে কোভ্যাক্সিন।
হায়দরাবাদের টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থার তরফে প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে জানানো হয়, তৃতীয় দফার ট্রায়ালে টিকার কার্যকারিতা ১৩০ জন করোনা আক্রান্তের উপর পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে যে, এটি উপসর্গ যুক্ত করোনা সংক্রমণের বিরুদ্ধে ৭৭.৮ শতাংশ কার্যকরী।
যে ১৩০ জন রোগীর উপর এই ট্রায়াল চালানো হয়েছিল, টিকা নেওয়ার পর তাদের মধ্যে ১২ শতাংশের অতি সাধারণ উপসর্গ, যেমন জ্বর বা মাথা ব্যাথা দেখা দিয়েছে। ০.৫ শতাংশ রোগীর মধ্যে গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বাকি ভ্যাকসিনগুলির তুলনায় এই ভ্যাকসিনে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার হার কম বলে জানানো হয়েছে প্রস্তুতকারক সংস্থার তরফে।
তৃতীয় দফার ট্রায়ালের ফল মিলতেই সংস্থার প্রধান ডঃ কৃষ্ণা ইলা জানান, এই ফলাফল ভারত তথা উন্নয়নশীল দেশগুলিকে গবেষণা ও উদ্ভাবনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার পথে সাহায্য করবে। আইসিএমআরের ডিরেক্টর ডঃ বলরাম ভার্গবও বলেন, “কোভ্যাক্সিনের আবিষ্কার ভারতকে বিশ্বের দরবারে বিশেষ জায়গা করে দিয়েছে।”
কোভ্যাক্সিন এখনও অবধি ভারত, ব্রাজিল, ফিলিপিন্স, ইরান, মেক্সিকো সহ মোট ১৬টি দেশে জরুরিভিত্তিতে প্রয়োগের অনুমোদন পেয়েছে। তবে এখনও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন মেলেনি।
আরও পড়ুন: শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে আসার ‘অপরাধে’ যুবতীকে চুলের মুঠি ধরে মার, বেঁধে রাখা হল গাছে!