নয়া দিল্লি: এখনই স্বস্তি পাচ্ছেন না সনিয়া গান্ধী। কংগ্রেস নেত্রীকে ফের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করতে চলেছে ইডি। সূত্রের খবর, আগামী ২৬ জুলাই ফের ন্য়াশনাল হেরাল্ড মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইডি দফতরে ডাকা হতে পারে কংগ্রেসের দলনেত্রীকে। চলতি সপ্তাহেই তিনি প্রথমবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মুখোমুখি হয়েছিলেন। পাঁচ ঘণ্টার জেরার পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।
সূত্রের খবর, গত ২১ জুলাই সনিয়া গান্ধীকে যেটুকু জেরা করা গিয়েছে, তাতে সন্তুষ্ট নন ইডির আধিকারিকরা। ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় বেআইনি আর্থিক লেনদেনের যে অভিযোগ রয়েছে, সে বিষয়ে এখনও বহু প্রশ্নেরই উত্তর মেলেনি। সেই কারণেই কংগ্রেস নেত্রীকে ফের জেরা করতে চায় তদন্তকারী সংস্থা। ইতিমধ্যেই তাঁর নামে সমনও তৈরি করা হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে একই মামলায় সনিয়া-পুত্র রাহুল গান্ধীকেও ম্যারাথন জেরা করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকেরা। পাঁচ দিনে মোট ৫০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জেরা করা হয়েছিল তাঁকে। তারপরও রাহুলের একাধিক বক্তব্যে অসঙ্গতি ছিল বলে জানা গিয়েছে।
গত ২১ জুলাই দুপুর ১২টা নাগাদ জ়েড প্লাস নিরাপত্তা নিয়ে ইডির দফতরে পৌঁছেছিলেন কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধী। সঙ্গে ছিলেন মেয়ে প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। কিছুক্ষণের মধ্যেই ইডির দফতরে এসে পৌঁছন রাহুল গান্ধী। সম্প্রতিই করোনা মুক্ত হওয়ায় এবং বয়সভারে নানা শারীরিক জটিলতা রয়েছে কংগ্রেস নেত্রীর। তাঁকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানেই নেবুলাইজ়ার নিতে হয়। জিজ্ঞাসাবাদের সময় যাতে কংগ্রেস নেত্রীর কোনও প্রকার সমস্যা না হয়, তার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা রেখেছিল ইডি। খোলামেলা ঘর, যেখানে হাওয়া চলাচল করে, এমন ঘরে জেরা করা হয়েছিল তাঁকে। আলাদা একটি ঘরে চিকিৎসকও ছিলেন নেবুলাইজ়ার মেশিন নিয়ে। ইডি দফতরেই জেরা চলাকালীন থাকার অনুমতি দেওয়া হয় প্রিয়ঙ্কা গান্ধীকে।
এদিকে, সনিয়া গান্ধীকে ইডির জেরা নিয়ে বিক্ষোভে পথে নেমেছে কংগ্রেস। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ব্যবহার করে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করছে সরকার, এই অভিযোগে সংসদেও সরব হয়েছেন সাংসদরা।