Bangla News World Kerala see 'laptop protest', here are the stories of some of the world's craziest protests
গণ-যৌনতা, উন্মুক্ত স্তন থেকে মগডালে ৭৩৮ দিন! সারা বিশ্বের খ্য়াপাটে প্রতিবাদের কাহিনি, দেখুন ছবিতে ছবিতে
TV9 Bangla Digital | Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী
Jul 23, 2022 | 9:10 AM
Crazy Protests: কোথাও গর্ভপাতের দাবিতে মহিলারা স্তন উন্মুক্ত করে দিচ্ছেন, কোথাও যৌন স্বাধীনতার দাবিতে মুখের উপর নামিয়ে আনা হচ্ছে নিতম্ব। বিশ্ব জুড়ে রয়েছে এরকম খ্যাপাটে প্রতিবাদের কাহিনি।
1 / 8
গত বুধবার কেরলের ত্রিবান্দ্রামের এক ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্রছাত্রীদের এক অভিনব প্রতিবাদে অংশ নিতে দেখা গিয়েছে। কলেজের কাছে অবস্থিত এক পুরনো বাসস্ট্যান্ডে চেলেমেয়ে একসঙ্গে বসে গল্প করা স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অপছন্দ ছিল। তাই তারা বাসস্ট্যান্ডের বেঞ্চ ভেঙে দিয়েছিল। এরপরই পাশাপাশি না বসতে পারা এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের নীতি পুলিশগিরির প্রতিবাদে ছাত্রদের কোলের উপরই বসা শুরু করেন ছাত্রীরা। এই অভিনব প্রতিবাদের তাঁরা নাম দিয়েছেন 'ল্যাপটপ প্রতিবাদ'! বস্তুত গোটা বিশ্বেই এমন কিছু উন্মত্ত অভিনব প্রতিবাদ দেখা গিয়েছে।
2 / 8
২০১৪ সালে যুক্তরাজ্যে অনলাইন পর্নে 'স্প্যাঙ্কিং' অর্থাৎ নিতম্বে থাপ্পর মারা এবং 'ফেস-সিটিং' বা মুখের উপর নিতম্ব আনার মতো কাজ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। পর্ন বিধিমালায় এই পরিবর্তনের পর লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টারের সামনে শয়ে শয়ে পর্ণ তারকা, এসকর্ট এবং সমমনস্ক ব্যক্তিবর্গ জমায়েত করেছিলেন। যৌন স্বাধীনতা চেয়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। সেখানে গণ হারে মহিলারা পুরুষদের মুখের উপর নিতম্ব নামিয়ে এনেছিলেন।
3 / 8
চলতি মাসের শুরুতে স্পেনে ষাঁড়ের দৌড়ের প্রতিবাদ জানাতে বিক্ষোভকারীদের দেখা গিয়েছিল ডাইনোসর দৌড়ের আয়োজন করতে। দুই বছরের স্থগিত থাকার পর, চলতি বছরে ফের স্পেনের পামপ্লোনা শহরের রাস্তায় ষাঁড়ের দৌড়ের আয়োজন করা হয়েছিল। এক ৪২ বছর বয়সী ব্যক্তির মৃত্যুও হয়। তারই প্রতিবাদে পশু অধিকার গোষ্ঠীগুলি ডাইনোসরের পোশাক পরে দৌড়ে, স্প্যানিশ শহরের রাস্তায় প্রতিবাদ জানান। ষাঁড়ের দৌড় কতটা প্রাচীন ক্রীড়া, তা বোঝাতেই ওই ডাইনোসরের দৌড়ের আয়োজন করা হয়েছিল।
4 / 8
২০১৯ সালে, ব্রেক্সিট বিতর্ক চলাকালীন একদল বিক্ষোভকারী ব্রিটিশ হাউস অফ কমন্সের পাবলিক গ্যালারিতে ঢুকে নিজেদের নিতম্ব প্রদর্শন করেছিলেন। 'এক্সটিনশন রেবেলিয়ন' নামে এক পরিবেশবাদী প্রচার গোষ্ঠী এই অভিনব প্রতিবাদের আয়োজক ছিলেন। প্রায় ২০ মিনিট হাউস অব কমন্সের সদস্যদের ওই গোষ্ঠীর সদস্যদের নিতম্বের মুখোমুখি কাটাতে হয়েছিল। পরিবেশ রক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা সাংসদ এড়িয়ে যাচ্ছেন, এরই প্রতিবাদে এমনটা করেছিলেন ওই পরিবেশ কর্মীরা।
5 / 8
এই ঘটনাটি এক মার্কিন পরিবেশ কর্মীর একক প্রতিবাদের কাহিনি। জুলিয়া লরেন হিল বা জুলিয়া 'বাটারফ্লাই' হিল, ১৯৯৭ সালের ১০ ডিসেম্বর খালি পায়ে ক্যালিফোর্নিয়ার একটি প্রায় ১৮০ ফুট লম্বা এবং রেডউড গাছের মগডালে চড়ে বসেছিলেন। গাছটির নাম ছিল লুনা এবং সেটি ছিল প্রায় ১৫০০ বছরের পুরনো। জুলিয়া গাছটি থেকে নেমে এসেছিলেন ৭৩৮ দিন পর, ১৯৯৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর! কেন দুই বছরের বেশি সময় ধরে ওই গাছের মাথায় কাটিয়েছিলেন জুলিয়া? প্যাসিফিক লাম্বার কোম্পানির গাছ কাটিয়েরা যাতে 'লুনা'কে কেটে না ফেলে, তার জন্য এই একক সংগ্রাম চালিয়েছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ওই সংস্থা লুনা এবং তার আশপাশের ২০০ ফুট এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে থাকা প্রাচীন রেডউড গাছগুলি কাটবে না বলে অজ্ঞীকার করতে বাধ্য হয়েছিল।
6 / 8
চলতি বছরের মার্চেই, মাদ্রিদে মার্কিন দূতাবাসের সামনে সামনে এক আন্তর্জাতিক নারীবাদী সমিতির দুই নারী কর্মী জনসমক্ষে ব্রা খুলে তাঁদের স্তন উন্মুক্ত করেছিলেন। গর্ভপাতের বিরুদ্ধে মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন ওই সংগঠনের কর্মীরা। স্তন উন্মুক্ত করা ওই দুই মহিলার হাতে ছিল একটি ব্যানার, যাতে লেখা ছিল 'গর্ভপাত পবিত্র।' ওই মাসেই ইউক্রেনে ভ্লাদিমির পুতিনের রাশিয়ার আক্রমণের বিরোধিতা করে প্যারিসেও একই ধরনের প্রতিবাদ দেখিয়েছিলেন তাঁরা। প্রত্যেক প্রতিবাদী স্তন উন্মুক্ত করেছিলেন নিজেদের।
7 / 8
২০১৬ সালে, পূর্ব লন্ডনের সেন্সবারি এলাকার একটি সুপারমার্কেট থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল এক সমকামী দম্পতিকে। তাঁদের অপরাধ ছিল তাঁরা একে অপরের হাত ধরেছিলেন। প্রকাশ্যে ভালবাসার প্রকাশ ঘটানোর দায়ে তাদের দোকানটি থেকে বের করে দেওয়া হয়। এরপরই, সমকামী সম্প্রদায়ের প্রায় ২০০ জন মানুষ একটি গণ চুম্বন উৎসবে অংশ নিয়েছিলেন। সমকামী পুরুষ এবং মহিলারা ওই দোকানে এসেছিলেন এবং একে অপরের ঠোঁটে ঠোঁট রেখে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। দুই বছর পর পূর্ব ইউরোপের কিছু অংশে এলজিবিটি সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে হিংসা ও বর্বরতার প্রতিবাদ জানাতে নিউইয়র্কের উজবেকিস্তান কনস্যুলেটের বাইরেও একইরকম গণ চুম্বন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
8 / 8
এই ঘটনাটিও ঘটে যুক্তরাজ্যেই। একটি আইনি সংস্থার উপর ক্ষোভে ডার্বি ক্রাউন কোর্টের সিঁড়িতে গোবর সার ফেলে দিয়েছিলেন চার্লস হিরন্স নামে এক কৃষক। একটি ট্রাক্টরে করে মোট পাঁচ টন সার তিনি আদালতে সিঁড়ির উপর জমা করেছিলেন। ট্রাক্টরটিও সেখানেই ফেলে যান। পরিষ্কার করতে কর্তৃপক্ষের তিন ঘণ্টা লেগেছিল। আর এমন অভিনব প্রতিবাদ জানিয়ে গ্রেফতার হয়েছিলেন ওই কৃষক।