মুম্বই: ক্ষমতা দখল করতে গিয়ে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডে গণতন্ত্রকে ‘হত্যা’ করেছেন। তাঁর উচিত মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া। বৃহস্পতিবার এই ভাষাতেই শিণ্ডেকে আক্রমণ করলেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক ডামাডোল সংক্রান্ত মামলার শুনানি বৃহস্পতিবার হয়েছে দেশের শীর্ষ আদালতে। সেই মামলার শুনানির সময় শিবসেনা শিবিরে ভাঙন, বিধয়কদের দলত্যাগ, আস্থা ভোট, রাজ্যপালের ভূমিকার মতো বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। দেশের শীর্ষ আদালতের সেই পর্যবেক্ষণ অক্সিজেন জুগিয়েছে ধুকতে থাকা উদ্ধব শিবিরকে। বৃহস্পতিবারই বিরোধী জোটের ব্যাপারে আলোচনা করতে উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে দেখা করতে মুম্বই গিয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউ প্রধান নীতীশ কুমার। তাঁকে পাশে বসিয়েইউ সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা বললেন উদ্ধব।
নীতীশ কুমারকে পাশে নিয়ে একনাথ শিণ্ডে শিবিরকে আক্রমণ শানিয়ে উদ্ধব বলেছেন, “গণতন্ত্রকে হত্যা করে একনাথ শিণ্ডে জিতেছেন। আমি যেমন করেছি, তেমনই একনাথ শিণ্ডের উচিত মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া।”
এ ব্যাপারে উদ্ধব সেনার সাংসদ সঞ্জয় রাউত বলেছেন, “সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানিয়েছে শিব সেনার শিণ্ডে গ্রুপের হুইপ ছিল অবৈধ। বর্তমান সরকার তৈরি হয়েছে অবৈধ ভাবে এবং সংবিধানের অবমাননা করে। ” উদ্ধব শিবিরের অপর সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী বলেছেন, “আদালতের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী শিণ্ডে-ফড়নবীশ সরকার গঠিত হয়েছে অবৈধ হুইপের মাধ্যমে। অবৈধ মন্ত্রিসভার গালে থাপ্পড় পড়ল।” মহারাষ্ট্রের এই সরকারকে ভেঙে দেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন ওই সাংসদ।
প্রসঙ্গত, গত বছর জুন মাসে মহারাষ্ট্রে উদ্ধব ঠাকরে সরকারের পতন হয়। বিজেপির সমর্থনে সরকার গড়েন একনাথ শিণ্ডে। সে সময় প্রচুর শিবসেনা বিধায়ক উদ্ধব শিবির থেকে এসেছিলেন শিণ্ডে শিবিরে। তার পরই উদ্ধবকে আস্থাভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের কথা জানান মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল বিএস কোশিয়ারি। এর পরই আস্থাভোটে মুখোমুখি হননি উদ্ধব। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্ফতা দেন। কিন্তু রাজ্যপালের ডাকা সেই আস্থাভোট যথোপযুক্ত ছিল না বলে বৃহস্পতিবার জানায় প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ। তার পরই বিষয়টি নিজেদের ‘নৈতিক জয়’ হিসাবে দাবি করে উদ্ধব শিবির।