Vice Presidential polls: উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে বড় পদক্ষেপ কমিশনের, কী সিদ্ধান্ত নিল?
Vice Presidential polls: সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৬৮ অনুসারে, উপরাষ্ট্রপতি পদ শূন্য হলে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন করতে হবে। উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন সম্পন্ন করার দায়িত্ব জাতীয় নির্বাচন কমিশনের। সেই মতো পদক্ষেপ শুরু করেছে কমিশন। সূত্রের খবর, নির্বাচনের জন্য ইলেক্টোরাল কলেজ বা ভোটার তালিকা তৈরির কাজও শুরু করে দিয়েছে।

নয়াদিল্লি: অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে সংসদের বাদল অধিবেশনের মধ্যেই উপরাষ্ট্রপতি পদে ইস্তফা দিয়েছেন জগদীপ ধনখড়। তাঁর এই আচমকা ইস্তফা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে প্রাথমিক পদক্ষেপ শুরু করল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। রাজ্যসভার সেক্রেটারি জেনারেল পিসি মোদীকে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য রিটার্নিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ করল কমিশন। রাজ্যসভার অন্য দু’জন সচিবকে অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে।
গত ২১ জুলাই ইস্তফা দিয়েছেন ধনখড়। পরদিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে উপরাষ্ট্রপতি পদ শূন্য থাকার কথা জানায়। তারপরই উপরাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন নিয়ে তৎপর হয় কমিশন। আইন মন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনার পর রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণ সিংয়ের সম্মতিতে রিটার্নিং অফিসার ও অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসারের ভূমিকা একবার লোকসভার সেক্রেটারি জেনারেল পালন করেন। পরেরবার রাজ্যসভার সেক্রেটারি জেনারেল পালন করেন। ২০২২ সালের নির্বাচনে লোকসভার সেক্রেটারি জেনারেল এই দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তাই এবার রাজ্যসভার সেক্রেটারি জেনারেলের উপর সেই দায়িত্ব বর্তেছে।
সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৬৮ অনুসারে, উপরাষ্ট্রপতি পদ শূন্য হলে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন করতে হবে। উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন সম্পন্ন করার দায়িত্ব জাতীয় নির্বাচন কমিশনের। সেই মতো পদক্ষেপ শুরু করেছে কমিশন। সূত্রের খবর, নির্বাচনের জন্য ইলেক্টোরাল কলেজ বা ভোটার তালিকা তৈরির কাজও শুরু করে দিয়েছে। লোকসভা এবং রাজ্যসভার সাংসদদের নিয়ে তৈরি হবে ইলেক্টোরাল কলেজ।
কমিশন অবশ্য এখনও নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি করেনি। তবে তা দ্রুত করা হবে বলে কমিশন জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তি জারির ৩০ দিনের আশপাশে নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার কথা। ২০২২ সালে বিজ্ঞপ্তি জারির ৩২ দিন পর নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ হয়েছিল। নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত রাজ্যসভায় চেয়ারম্যানের দায়িত্ব সামলাবেন ডেপুটি চেয়ারম্যান।
প্রসঙ্গত, উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দেন লোকসভা এবং রাজ্যসভার সাংসদরা। লোকসভায় ৫৪৩টি আসনের মধ্যে একটি আসন খালি রয়েছে। আর রাজ্যসভায় ২৪৫টি আসনের মধ্যে শূন্য রয়েছে ৫টি আসন। অর্থাৎ ৭৮২ জন সাংসদ ভোট দেবেন। জয়ের জন্য দরকার ৩৯২টি ভোট। এই মুহূর্তে লোকসভায় এনডিএ-র সাংসদ রয়েছেন ২৯৩ জন। আর রাজ্যসভায় এনডিএ-র সদস্য সংখ্যা ১৩৩। উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যার চেয়ে বেশি সাংসদ রয়েছে এনডিএ-র। রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সাংসদদের ভোটদানের ক্ষেত্রে দল হুইপ জারি করতে পারে না। তবে এনডিএ প্রার্থীর জয় কার্যত নিশ্চিত।

