চেন্নাই: দিন যত এগোচ্ছে ততই পেট্রোল-ডিজেল চালিত গাড়ির থেকে ইলেকট্রিক স্কুটি, বাইক, চার চাকার দিকে ঝুঁকছেন একটা বড় অংশের মানুষ। পথে নেমেছে ইলেকট্রিক বাস, টোটো। কলকাতা থেকে দিল্লি, মুম্বই সর্বত্রই দেখা যাচ্ছে এই ছবি। তিলোত্তমায় তো বর্তমানে প্রায় সমস্ত রুটেই চলছে ইলেকট্রিক বাস। রাজ্যের পরিবহণ দফতর জানিয়েছে আগামীতে রাস্তায় নামতে চলেছে আরও যান। পরিবেশবিদরা বলছেন, ভালই হচ্ছে। দিনের শেষে পরিবেশকে সুস্থ রাখতে এই উদ্যোগ বিশেষভাবে দরকার। কিন্তু, শহর বা শহরতলি ছাড়া দেশের একটা বড় অংশে ইলেকট্রিক গাড়িগুলির চার্জিং পয়েন্ট অপ্রতুল। আর শহরগুলিতে বাসের চার্জিং পয়েন্ট থাকলেও চার্জ দিতে চলে যাচ্ছে বড় সময়। তাতেই হচ্ছে সমস্যা। এবার সেই সমস্যা দূর করতে মাঠে নেমে পড়েছে সুইজারল্যান্ডের ভারী বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম তৈরির সংস্থা হিতাচি এনার্জি। সঙ্গে রয়েছে অশোক লেল্যান্ড।
২০ সেকেন্ডের মধ্যেই চার্জ হয়ে যাবে আস্ত একটা বাস। সোজা কথায় ফ্ল্যাশ-চার্জিংয়েই হবে সমস্যার সমাধান। এমনটাই জানাচ্ছে হিতাচি। পাইলট প্রজেক্টও। চেন্নাইয়ে আইআইটি মাদ্রাজের ক্যাম্পাসে চলছে এই পাইলট প্রজেক্ট। তৈরি করা হয়েছে দুটি চার্জিং পয়েন্ট।
হিতাচি সূত্রে খবর, তাঁদের প্রজেক্ট মোটামুটি সফল হওয়ার পথেই। শেষ মুহূর্তেই টেস্টিং চলছে। তারপরেই দেশের সর্বত্র এই ধরনের চার্জিং স্টেশন তৈরি করা ফেলা হবে। দ্রুত চার্জ দেওয়া সম্ভব হলে বাসে আরও বেশি মাত্রায় যাত্রী পরিবহণ করা সম্ভব হবে, ক্ষমতা বাড়বে বাসের। এমনটাই জানাচ্ছেন এন ভেনু, হিতাচি এনার্জির এমডি এবং সিইও (ভারত ও এসই এশিয়া)।
প্রসঙ্গত, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন কয়েকদিন আগেই চেন্নাইতে হিতাচি এনার্জি গ্লোবাল টেকনোলজি অ্যান্ড ইনোভেশন সেন্টারের উদ্বোধন করেছেন। ৩ লক্ষ বর্গফুট জুড়ে বিস্তৃত এই সেন্টারে আড়াই হাজারের বেশি বিশেষজ্ঞ রয়েছেন। যাঁরা মূলত পাওয়ার ইলেকট্রনিক্স, ডিজিটাল এবং এনার্জি ট্রানজিশনের উপর কাজ করে চলেছেন। সেখানেও এখন এই ফ্ল্যাশ চার্জিং অন্যতম চর্চিত বিষয়।