Coal Scam: জিজ্ঞাসাবাদ-গ্রেফতার সব করুক ইডি, কিন্তু কলকাতায়; আদালতে আর্জি অভিষেক-রুজিরার

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Sep 27, 2021 | 6:25 PM

Abhishek Banerjee: এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED) কয়লা কেলেঙ্কারি মামলায় কলকাতায় তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ বা গ্রেফতার করতে পারে। দিল্লি হাইকোর্টে জানালেন অভিষেক ও রুজিরা।

Coal Scam: জিজ্ঞাসাবাদ-গ্রেফতার সব করুক ইডি, কিন্তু কলকাতায়; আদালতে আর্জি অভিষেক-রুজিরার
কয়য়া- কাণ্ডে নাম জড়িয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রী রুজিরার (ফাইল ছবি)

Follow Us

কলকাতা : কয়লা কেলেঙ্কারি মামলায় আদালতের দ্বারস্থ হয়ে কোনও ঢাল তৈরি করতে চাননি। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ED) আধিকারিকরা চাইলে তাঁকে কলকাতায় জিজ্ঞাসাবাদ করুক। চাইলে গ্রেফতারও করতে পারে। কিন্তু যা হবে, কলকাতাতেই হোক। আজ দিল্লি হাইকোর্টে এমনটাই জানালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়।

যাতে কয়লা কেলেঙ্কারি মামলায় বারবার অভিষেক ও রুজিরাকে দিল্লিতে তলব থেকে যাতে ইডি রেহাই দেয়, তার জন্য দিল্লি হাইকোর্টে একটি আবেদন করেছিলেন হেভিওয়েট দম্পতি। আজ সেই মামলারই শুনানি চলছিল বিচারপতি যোগেশ খান্নার এজলাসে। আর তখই আদালতে এই বক্তব্য জানান অভিষেক ও তাঁর স্ত্রী।

সম্প্রতি অভিষেক ও তাঁর স্ত্রী রুজিরাকে একাধিকবার দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছে ইডি। আর এতে বেশ বিরক্তি তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। দিল্লির বদলে কলকাতায় যাতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, সেই নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে র দ্বারস্থ হয়েছিলেন সস্ত্রীক অভিষেক। আইন মেনে কলকাতাতেই তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করুক ইডি। এই আবেদন জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়।

প্রথমবার যখন অভিষেক দিল্লিতে ইডির দফতরে হাজিরা দেন, তখন দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল ডায়মন্ডহারবারের সাংসদকে। টানা ৯ ঘণ্টা ধরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন ইডির আধিকারিকরা। তারপর ৪৮ ঘণ্টা যেতে না যেতে ফের সমন পাঠানো হয়েছিল অভিষেককে। ইডি সূত্রে খবর, প্রথম দিনে জিজ্ঞাসাবাদে তাঁদের কাছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে এসেছে। সেই কারণেই বারবার তলব করা হচ্ছে।

এদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে দাবি করছেন, তার পরিণাম কী হতে পারে, তারও সাক্ষী থেকেছে কলকাতা। এর আগে সারদা থেকে নারদা, সব ক্ষেত্রেই রাজ্যের তরফে চূড়ান্ত প্রতিরোধ দেখা গিয়েছে। সারদা কাণ্ডে সিবিআইকে সহযোগিতা না করার অভিযোগে তৎকালীন কলাকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়িতে হানা দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। আর তাতেই পরিস্থিতি নাগালের বাইরে বেরিয়ে যায়। সিবিআইকে আটকে দেয় কলকাতা পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রী নিজে ছুটে যান পুলিশ কমিশনারের বাড়িতে। ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলে ধর্নাতেও বসে যান।

আর তারপর নারদ মামলাতেও মদন মিত্র, ফিরহাদ হাকিমদের গ্রেফতারির পরেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে রণং দেহী মূর্তিতে অবতীর্ণ হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোজা চলে যান সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই অফিসে। দলীয় নেতাদের ছাড়া না হলে, তিনিও সেখান থেকে নড়বেন না। তাঁকেও গ্রেফতার করতে হবে বলে দাবি করেছিলেন মমতা। আর সিজিও কমপ্লেক্সের নিচে তখন করোনা বিধি শিকেয়। ভিড় করেছেন প্রায় কয়েক হাজার কর্মী ও সমর্থক। প্রিয় নেতাকে কোনওভাবেই গ্রেফতার করতে পারবে না সিবিআই।

সুতরাং, দু’বার শিক্ষা হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। এরপরেই কি কলকাতায় বসে অভিষেক-রুজিরার মতো হেভিওয়েট দম্পতিকে গ্রেফতার করা তো দূরে থাক, জিজ্ঞাসাবাদ করার কথাও ভাববেন ইডির আধিকারিকরা? যদিও গোটা বিষয়টি এখন নির্ভর করছে দিল্লি হাইকোর্ট কী নির্দেশ দেয়, তার উপর।

আরও পড়ুন : Abhishek-Rujira: কেন বারবার দিল্লিতে তলব? হাইকোর্টের দ্বারস্থ অভিষেক-রুজিরা

Next Article