নয়া দিল্লি: আবগারি নিয়মে আরও বিপাকে পড়ল আপ সরকার। এদিন সকালেই দিল্লি, পঞ্জাব ও হায়দরাবাদের মোট ৩৫টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। দিল্লির বাতিল করা আবগারি নিয়মে আর্থিক তছরুপেরও অভিযোগ উঠেছে, তার তদন্তেই তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে ইডি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দিল্লি, পঞ্জাব, হায়দরাবাদের ৩৫টি জায়গায় একসঙ্গে তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। মূলত মদের ব্যবসায়ী, ডিস্ট্রিবিউটরদের বাড়িতেই তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। এদিন ভোর থেকেই তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ভোরবেলাই ইডির সদর দফতর থেকে একের পর এক গাড়ি বের হতে দেখা যায়। একাধিক দলে ভাগ হয়ে ইডির আধিকারিকরা তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে।
আবগারি আইনের তদন্তে এখনও অবধি ইডি ১০৩ জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে। গত মাসেই গ্রেফতার করা হয়েছে মদ প্রস্তুতকারক সংস্থা ইন্দোস্পিরিট-র ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও মদ ব্যবসায়ী সমীর মাহান্দ্রুকে গ্রেফতার করা হয়।
এদিকে, তল্লাশি অভিযান শুরুর পরই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল টুইট করে কেন্দ্রকে আক্রমণ করেন এবং এই তল্লাশি অভিযানকে ‘নোংরা রাজনীতি’ বলে অ্যাখ্যা দেন। তিনি বলেন, “৫০০-রও বেশি তল্লাশি অভিযান, ৩ মাসেরও বেশি সময় থেকে ৩০০-রও বেশি সিবিআই-ইডি আধিকারিকরা ২৪ ঘণ্টা ধরে কাজ করছেন শুধুমাত্র মণীশ সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে প্রমাণ একটা প্রমাণ খুঁজে বের করার জন্য। কিন্তু কিছুই পাচ্ছেন না তারা। কারণ, আমরা কিছুই করিনি। শুধুমাত্র নোংরা রাজনীতি করতে এত অফিসারদের সময় নষ্ট করানো হচ্ছে। এভাবে দেশ এগোবে কী করে?”
Enforcement Directorate (ED) is carrying out searches at nearly three dozen locations in Delhi and Punjab in connection with Delhi Excise Policy case. pic.twitter.com/TfIcX5rx2J
— ANI (@ANI) October 7, 2022
গত বছরের ১৭ নভেম্বর দিল্লিতে নতুন আবগারি আইন চালু করা হয়। নতুন আবগারি নীতিতে সরকারির পাশাপাশি বেসরকারি বিভিন্ন দোকান ও সংস্খাকেও মদ তৈরি ও বিক্রির লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনা এই আবগারি নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই জুলাই মাসে ওই নীতি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় ও পুরনো নীতিই চালু করা হয়। বিজেপির অভিযোগ, নতুন আবগারি নীতিতে আপ সরকার নিজেদের ঘনিষ্ঠ কয়েকজনকেই সুবিধা পাইয়ে দিয়েছিল। ব্যাপক ছাড় দিয়ে ক্রেতাদের আকর্ষিত করা হত ওই দোকান থেকে মদ কেনার জন্য। আবগারি নীতির দুর্নীতিতে উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া সহ একাধিক আমলার নাম জড়িয়েছে।
দিল্লির আবগারি আইন নিয়ে লেফটেন্যান্ট গভর্নর প্রশ্ন তোলার পরই তদন্ত শুরু করে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এফআইআরের ভিত্তিতেই আর্থিক তছরুপের মামলায় তল্লাশি অভিযান চালায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।