কোচি: সম্প্রতি কেরলের ভাড়াক্কেঞ্চেরিতে পথ দুর্ঘটনা মৃত্যু হয়েছিল নয়জনের। বৃহস্পতিবার কেরালা হাইকোর্ট এই দুর্ঘটনাকে ‘ভয়াবহ এবং মর্মান্তিক’ বলে উল্লেখ করেছে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, বেপরোয়া গাড়ি চালানোর সমস্যার সুরাহা করা হলে এই দুর্ঘটনা এড়ানো যেত। আদালত আরও বলেছে, “যদি এভাবেই চলতে থাকে, তাহলে কেরলের রাস্তাগুলি মরণফাঁদ হয়ে উঠবে।”
কেরলের পরিবহন কমিশনার তথা সড়ক নিরাপত্তা কমিশনারকে, শুক্রবার আদালতে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তার ব্যাখ্যা দিতে হবে তাঁকে। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি কীভাবে ঘটল তাও আদালতের সামনে ব্যাখ্যা করতে হবে। কেরল স্টেট রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন বা কেএসআরটিসি অবশ্য ইতিমধ্যেই আদালতে এই বিষয়ে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেছে। তাদের মতে, ট্যুরিস্ট বাসটির অতিরিক্ত গতি এবং ওভারটেকিং করাই এই দুর্ঘটনার কারণ। এই ব্যাখ্যা পাওয়ার পর হাইকোর্টের বিচারপতি দেবন রামচন্দ্রন জিজ্ঞাসা করেন, “সব জায়গায় আমাদের পুলিশ ও ক্যামেরা আছে। তাহলে কি ধরে নিতে হবে যে তারা এই ট্র্যাফিক আইনের লঙ্ঘনগুলি দেখেও দেখে না?”
পথ নিরাপত্তা সংক্রান্ত এক গুচ্ছ আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালতে এই মামলার শুনানি চলছে। আদালত পর্যবেক্ষণ করেছে, বেপরোয়া ড্রাইভিংকে হয় হাল্কাভাবে নেওয়া হয়েছিল, অথবা এটাকেই সঠিক বলে মনে করা হয়েছিল। আদালত জানিয়েছে, চালকরা যেভাবে তাদের যানবাহনগুলি চালায় এবং রাস্তা দখল করে, যেন তাদের যা খুশি করার অধিকার দেওয়া হয়েছে। প্রতিক্রিয়ার অভাব এবং আইনের কোনও ভয় না থাকার কারণেই এমন মনোভাব তৈরি হয়েছে বলে পর্যবেক্ষণ করেছে আদালত। তাই আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং তাদের কর্মকর্তাদের ক্ষমতায়ন ও যাচাই-বাছাই করা এবং তাদের কর্মের জন্য জবাবদিহি করার উপরে জোর দিয়েছে আদালত।