নয়া দিল্লি: এবার জেরার জন্য কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) এবং সাংসদ রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) তলব করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। ন্যাশনাল হেরাল্ড সংক্রান্ত বেআইনি অর্থ লেনদেন মামলায় কংগ্রেসের দুই শীর্ষ রাজনীতিবিদকে তলব করা হয়েছে। কংগ্রেস দলের হাতে ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্রের মালিকানা রয়েছে এবং কংগ্রেস এই সংবাদপত্র পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত। ইডি সূত্রে খবর, ২ জুন রাহুল গান্ধীকে এবং ৮ জুন সনিয়া গান্ধীকে জেরা করতে চেয়ে ইডি দফতরে হাজির হতে বলা হয়েছে।
২০১৩ সালে বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী ন্যাশনাল হেরাল্ড নিয়ে দিল্লির দায়রা আদালতে সনিয়া-রাহুলের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তারপর থেকেই আদালতের নির্দেশে দুই শীর্ষ কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে তদন্তে নামে আয়কর বিভাগ। ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্র অধিগ্রহণে গান্ধীদের বিরুদ্ধে প্রতারণা এবং তহবিল অপব্যবহারের অভিযোগ এনেছিলেন সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। স্বামীর অভিযোগ ছিল, গান্ধীদের অধিগ্রহণ করা সম্পত্তি আসলে ন্যাশানাল হেরাল্ডের মালিকানাধীন ছিল। ইয়ং ইন্ডিয়ানের মাধ্যমে এই গোটা চুক্তিটি হয়েছিল যেখানে গান্ধীদের ৮৬ শতাংশ ছিল। তৎকালীন অর্থমন্ত্রীর কাছে কর ফাঁকিরও একটি অভিযোগ করেছিলে স্বামী।
ট্রায়াল কোর্টে দায়ের হওয়া অভিযোগে জানানো হয়েছিল, সনিয়া-রাহুল সহ অন্যান্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ৫০ লক্ষ টাকা বিনিময়ে আর্থিক প্রতারণা করার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল, যাঁর মাধ্যমে ইয়ং ইন্ডিয়ান এজিএলের থেকে প্রাপ্য ৯০ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা উদ্ধারের অধিকার পেয়েছিল। সেই সময় অভিযোগ উঠেছিল, ২০১০ সালে যে ইয়ং ইন্ডিয়ার ৫০ লক্ষ টাকা মূলধন ছিল, তারা এজিএলের যাবতীয় শেয়ার অধিগ্রহণ করে নিয়েছিল। তদন্তে নেমে আয়কর দফতর জানিয়েছিল, ইয়ং ইন্ডিয়াতে রাহুল গান্ধীর শেয়ার রয়েছে, এবং তিনি সেখান থেকে বছরে ১৫৪ কোটি টাকা রোজগার করেন। আয়কর বিভাগ ২০১১-১২ অর্থবর্ষের ২৪৯ কোটি ১৫ লক্ষ টাকার হিসেব মূল্যায়নের জন্য ডিমান্ড নোটিস জারি করেছিল।