মুম্বই: গ্রেফতারির পরও শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউতের ওপর চাপ আরও বাড়ল। বেআইনি আর্থিক লেনদেন মামলায় এবার সেনা সাংসদের স্ত্রী বর্ষা রাউতকে তলব করেছে তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট অথবা ইডি। মুম্বইয়ের বিশেষ আদালত সঞ্জয় রাউতকে ৮ অগস্ট অবধি ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়ার কিছুক্ষণ পরই, তাঁর স্ত্রীকে তলবের বিষয়টি জানা গিয়েছে। তবে আবসন কেলেঙ্কারি মামলায় কবে শিবসেনা সাংসদের স্ত্রীকে হাজির হতে বলে হয়েছে, এখনও অবধি তা জানা যায়নি। এই মামলায় ইডি সূত্রে একাধিকবার বর্ষার নাম উঠে এলেও এখনও অবধি তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আদালতে অভিযোগ করেছে, রাউত পরিবার পত্র চউল প্রকল্পে বেনিয়ম করার জন্য ১ কোটি টাকা অপরাধমূলকভাবে আয় করেছে। পাল্টা সঞ্জয় রাউত বলেছেন, তাঁকে বদ্ধ ঘরে রাখা হয়েছে, কিন্তু ইডি বলছে তাঁকে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে রাখা হয়েছে।
প্রায় চার মাস আগে মুম্বইয়ের গোরেগাঁওয়ের পত্র চউল পুনর্নির্মাণে ১ হাজার কোটি টাকা কেলেঙ্কারির অভিযোগে সঞ্জয় পত্নী বর্ষা রাউত ও সাংসদের ২ ঘনিষ্ঠ সহযোগীর ১১ কোটি টাকা সম্পত্তি সংযুক্ত করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই ১১ কোটি টাকা সম্পত্তির মধ্যে দাদরে বর্ষার নামের একটি ফ্ল্যাটও ছিল। পাশাপাশি স্বপ্না পাটকর নামে যৌথ মালিকানায় আলিবাগে ৮টি জমি ছিল বর্ষার। স্বপ্না শিবসেনা সাংসদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত সুজিত পাটকরের স্ত্রী। স্বপ্না এই মুহূর্তে এই মামলার প্রধান সাক্ষী। স্বপ্না দাবি করেছিলেন তাঁকে খুন ও ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। যদিও গোটা বিষয়টি অস্বীকার করেছেন সাংসদ সঞ্জয় রাউত।
শিবসেনার রাজ্যসভা সাংসদ সঞ্জয় রাউত শিবসেনা সভাপতি উদ্ধব ঠাকরের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবেই পরিচিত। সেনার মুখপত্র প্রকাশের গুরদায়িত্বও তাঁর কাঁধে রয়েছে। একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বে শিবসেনা বিধায়কদের বিদ্রোহ ঘোষণা থেকে শুরু করে বিজেপির সমর্থনে সরকার গঠন, সব বিষয়ের সঞ্জয়কে সোচ্চার হতে দেখা গিয়েছে। কয়েকদিন আগেই বেআইনি আর্থিক লেনদেন মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। গ্রেফতার হয়েই কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে নিশানা করে তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর সঙ্গে ‘প্রতিহিংসার রাজনীতি’ করা হচ্ছে। এই মামলা আগামী দিনে কোন দিকে যায়, সেটাই এখন দেখার।