নয়া দিল্লি: ২০২১ সালের শেষ মাসেই হঠাৎ ঘটল বড় দুর্ঘটনা। তামিলনাড়ুর সুলুর থেকে ওয়েলিংটন যাওয়ার পথেই মাঝ আকাশ থেকে ভেঙে পড়ল প্রতিরক্ষা প্রধান বিপিন রাওয়াত(Bipin Rawat)-র হেলিকপ্টার (Army Chopper Crash)। দুর্ঘটনায় সিডিএস জেনারেল, তাঁর স্ত্রী সহ মোট ১৩ জনের মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনা থেকে একমাত্র বেঁচে ফিরেছিলেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন বরুণ সিং। কিন্তু তাঁরও মৃত্যু হয় এক সপ্তাহ পর। প্রায় একমাস তদন্ত (Investigation) চলার পর অবশেষে জানা গেল ঠিক কী কারণে ভেঙে পড়েছিল প্রতিরক্ষা প্রধান বিপিন রাওয়াতের হেলিকপ্টার।
বায়ুসেনার অধীনে যে তদন্তকারী দল রাওয়াতের দুর্ঘটনার কারণ খুঁজছিলেন, তারা জানিয়েছিলেন পাইলটের গাফিলতির কারণেই হেলিকপ্টারটি ভেঙে পড়েছিল এবং জেনারেল বিপিন রাওয়াত সহ ১৪ জনেরই মৃত্যু হয়েছিল। সমস্ত প্রত্যক্ষদর্শীদের জিজ্ঞাসাবাদ এবং ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার ও ককপিট ভয়েস রেকর্ডার পরীক্ষা করে তদন্তকারী দলের তরফে বলা হয়েছে, “তামিলনাড়ুর কুন্নুর উপত্যকায় হঠাৎ আবহাওয়ার পরিবর্তনের ফলেই যাত্রা পথে ঘন মেঘের মাঝে ঢুকে পড়ে হেলিকপ্টারটি। এরপরই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে পাইলট এবং “কন্ট্রোলড ফ্লাইট ইনটু টেরিন”-র ফলে কপ্টারটি ভেঙে পড়ে।”
উল্লেখ্য, কন্ট্রোলড ফ্লাইট ইনটু টেরিন- তখনই বলা হয়, যখন পাইলটের নিয়ন্ত্রণে থাকা কোনও একটি বিমান বা কপ্টার সোজাসুজি কোনও পাহাড়, জল বা খাদের মধ্যে পড়ে যায়। উড়ানের মাঝেই কোনও পাহাড়, জল বা অন্য কোনও বাধার সৃষ্টি হলে, যার ফলে দুর্ঘটনা ঘটে, তাকেই ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের তরফে সিএফআইটি বলা হয়। এক্ষেত্রে পাইলটের বিমান বা কপ্টারের নিয়ন্ত্রণ হারানোর কোনও উল্লেখ নেই।
এয়ার মার্শাল মানবেন্দ্র সিংয়ের নেতৃত্বে যে ত্রী-স্তরীয় তদন্তকারী দল গোটা ঘটনার তদন্ত করেছে, তারা যান্ত্রিক ত্রুটি, ইচ্ছাকৃতভাবে দুর্ঘটনার পরিকল্পনা বা গাফিলতির সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছে। তদন্তকারী দলের প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী তদন্তকারী আদালত বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছে, বর্তমানে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে, এমনটাই জানা গিয়েছে সেনা সূত্রে।