এই বয়সেই এমন বুদ্ধি! মিড ডে মিল খেলেই মরে যেত স্কুলের সবাই…নেপথ্যে ক্লাস ফাইভের পড়ুয়ার ‘শয়তানি’
Student: ওই নাবালককে জুভেনাইল আদালতে তোলা হবে বলেই জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় অন্য কারোর যোগ নেই বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

বেঙ্গালুরু: পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়া। এখনও কৈশোরেও পা দেয়নি। তার আগেই যে কাণ্ড ঘটাল, তাতে রীতিমতো আতঙ্কে সবাই। বছর এগারোর পড়ুয়ার জন্য মৃত্য়ুমুখে চলে যাচ্ছিল গোটা স্কুল। কী এমন ঘটেছে?
সরকারি স্কুলের পড়ুয়া ওই নাবালক। সামান্য একটা ঘটনায় সে এতটাই রেগে যায় যে স্কুলের জলের ট্যাঙ্কে মিশিয়ে দেয় বিষাক্ত কীটনাশক। ওই জলই পান করত স্কুলের সমস্ত পড়ুয়া থেকে শুরু করে শিক্ষক-শিক্ষিকারা। ঠিক দুপুরে লাঞ্চ ব্রেকের আগেই বিষয়টি সামনে আসে, মিড ডে মিলের খাবার তৈরির সময়।
কর্নাটকের শিমোগার বাসিন্দা ওই নাবালক ক্লাসের মনিটর। তবে তাঁর কথা কেউ শুনছিল না। সেই রাগে, দুঃখেই মারাত্মক কাণ্ড ঘটিয়ে বসে নাবালক। বাড়িতে রাখা আদা ক্ষেতে দেওয়ার জন্য কীটনাশক এনে, স্কুলের জলের ট্যাঙ্কে মিশিয়ে দেয়।
দুই পড়ুয়া তাঁকে এই কাজ করতে দেখেও নেয়, কিন্তু ওই নাবালক তাদের ভয় দেখিয়ে চুপ করিয়ে দেয়। ভাগ্যক্রমে যখন মিড ডে মিলের রান্না হচ্ছিল, তখন রাধুনীরা পানীয় জল থেকে একটা বিকট গন্ধ পান। এরপর দেখেন জলের রঙও বদলে গিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গেই তারা শিক্ষকদের খবর দেন। স্কুলের শিক্ষকরাও তৎপরতার সঙ্গে ওই জল ব্যবহার বন্ধ করান এবং কোনও পড়ুয়া যাতে জল না খেতে পারে, তাও নিশ্চিত করেন।
পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। কয়েকজন পড়ুয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের পরই আসল সত্যি বেরিয়ে আসে। ওই নাবালককে তাঁর পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সে জানায়, কয়েকদিন আগে ক্লাস টু-এর এক পড়ুয়া সহপাঠীর জলের বোতলে বাথরুমে রাখা ফিনাইল মিশিয়ে দিয়েছিল। সেখান থেকেই সে এই বুদ্ধি পায়।
ওই নাবালককে জুভেনাইল আদালতে তোলা হবে বলেই জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় অন্য কারোর যোগ নেই বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে, নাবালকের দোষ স্বীকারের আগেই ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক শোরগোল পড়ে যায়। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে এই ঘটনাকে সন্ত্রাসবাদী হামলার সমান বলেই উল্লেখ করে বসেন আসল ঘটনা না জেনে।

