নয়া দিল্লি: গোটা দেশে পরিবহন ব্যবস্থার প্রাণ হল ভারতীয় রেল। অন্যান্য যানবাহনের থেকে অনেক কম খরচে অধিক দূরত্বের পথ যাতায়াত করা সম্ভব ট্রেনে। বিমানে এক রাজ্য থেকে আর এক রাজ্যে যাওয়ার যা খরচ তার থেকে অর্ধেক বা তারও কম খরচে ট্রেনে যাত্রা করা যায় ওই একই দূরত্বে। কীভাবে এটা সম্ভব হয়?
আসলে ভর্তুকি দেয় রেল। আপনি যে টাকায় টিকিট কেনেন, তার ওপর থাকে রেলের ভর্তুকি। সম্প্রতি রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব লোকসভায় জানিয়েছেন ঠিক কত টাকা ভর্তুকি দেয় রেল।
বুধবার রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রত্যেক টিকিটে ৪৬ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ৫৬,৯৯৩ কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হয় রেলকে প্রতি বছর।
আগে বিভিন্ন ক্ষেত্রে রেলে যে সব ছাড় দেওয়া হত, সেই বিষয়ে লোকসভায় প্রশ্ন করা হয় অশ্বিনী বৈষ্ণবকে। তিনি জানান, একটি ট্রেনের টিকিট যদি ১০০ টাকা হয়, তাহলে রেল ৪৬ টাকা ছাড় দেয়, ফলে একজন যাত্রীকে দিতে হয় ৫৪ টাকা।
মন্ত্রী আরও বলেন, সব ক্লাসের যাত্রীর জন্য প্রতি বছর ৫৬ হাজার ৯৯৩ টাকা ভর্তুকি দিতে হয়। র্যাপিড রেল নিয়েও প্রশ্ন করা হয় রেলমন্ত্রীকে। তিনি জানান, রেল ইতিমধ্যেই সেই পরিষেবা শুরু করেছে। চালু হয়েছে ‘নমো ভারত র্যাপিড রেল’। ভুজ ও আমেদাবাদের মধ্যে সেই পরিষেবা চালু হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। দুটি জায়গার মধ্যে প্রায় ৩৫৬ কিলোমিটার দূরত্ব পার করে ‘নমো ভারত র্যাপিড রেল’। একাধিক স্টেশনে দাঁড়ায় ওই ট্রেন। সার্বিক দূরত্ব পার করতে সময় লাগে ৫ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট।