লখনউ: আগেও একাধিক বিয়ে করেছেন সমাজবাদী পার্টির নেতা চৌধুরী বসির। এ বার ৬ নম্বর বিয়েটা করতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তার আগেই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেন তাঁর তৃতীয় স্ত্রী নাগমা। বসিরের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। ‘তিন তালাক দিয়ে বসির বিয়ে ভেঙেছেন বলেও অভিযোগ করেন নাগমা। তিনি জানিয়েছেন, ষষ্ঠ বিয়ে করতে যাচ্ছিলেন বসির। উত্তরপ্রদেশে মায়াবতী সরকারের মন্ত্রিসভার মন্ত্রী ছিলেন এই বসির। পরে সমাজবাদী পার্টিতে যোগ দেন তিনি।
আগ্রায় এফআইআর হয়েছে বসিরের বিরুদ্ধে। নাগমা জানিয়েছেন প্রথমে থানায় গেলেও তাঁর অভিযোগ গ্রহণ করেনি পুলিশ। পরে পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হন তিনি, তখনও তাঁর অভিযোগ নেওয়া হয়। তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, ২০১২ তে বসিরের সঙ্গে তাঁর বিয়্যে হয়। তাঁদে দুই সন্তানও রয়েছে। বিয়ের পর থেকে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করতেন বসির ও তাঁর চার বোন রিজওয়ানা, শাবানা, নূর ফতিমা ও মেজভি। মারধর করা হত বলেও অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। তবে তাঁর এই অভিযোগ প্রথম নয়, এখনও আদালতে তাঁর করা মামলা চলছে বলে জানিয়েছেন নাগমা। গত তিনবছর ধরে বাপের বাড়িতেই আছেন তিনি।
নাগমা জানিয়েছেন, গত ২৩ জুলাই তিনি হঠা জানতে পারেন যে বসির ষষ্ঠ বিয়ে করছেন শাইসতা নামে এক মহিলাকে। খবর পেয়েই ওই মহিলার বাড়ি ছুটে যান নাগমা। সেখানে বসির তাঁকে কার্যত ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয় ও তিনবার ‘তালাক’ উচ্চারণ করে। এরপরই থানায় যান নাগমা। তিনি জানিয়েছেন, বসিরের বিরুদ্ধে আগে থেকেই অপরাধের মামলা রয়েছে। তাই বসিরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি নিজের জন্য নিরাপত্তাও চান নাগমা।
মন্টোলা পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে বসিরের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর হয়েছে। তিন তালাক নিয়ে আইন ভাঙার অভিযোগও দায়ের হয়েছে। এখনও বসিরকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। ২০১৯-এই ভারতে আইনত নিষিদ্ধ হয় তিন তালাক প্রথা। বর্তমানে এটি ফৌজদারী অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়, সর্বোচ্চ তিন বছরের জেল হতে পারে। আরও পড়ুন: এক ঘণ্টার মধ্যেই পরপর দু’বার ভূমিকম্প, সাত সকালে ছড়াল আতঙ্ক