নয়া দিল্লি: মূল্যবৃদ্ধি যেন কিছুতেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। উৎসবের মরশুমে ক্রমেই মাত্রা ছাড়াচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের দাম। দাম বাড়ানোয় নিজেদের মধ্যে যে প্রতিযোগিতায় সবুজ সবজিরা। সব থেকে খারাপ অবস্থা পেঁয়াজ (Onion) ও টম্যাটোর (Tomato)। দাম শুনলে ‘চক্ষু চড়কগাছ’ হওয়ার মতো অবস্থা মধ্যবিত্তদের। পেট্রোপণ্যের মাত্রাতিরিক্ত দাম বৃদ্ধি পরোক্ষভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের দাম বাড়াচ্ছে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।
দেশের প্রায় ১০০ টিরও বেশি কেন্দ্র থেকে সংগ্রহ করা সরকারি তথ্যের ভিত্তিতে দেখা গিয়েছে, যে পেঁয়াজের দাম গতমাসে কিলোপ্রতি ২৮ টাকা ছিল, এই মাসে সেটাই বৃদ্ধি পেয়ে ৩৯ টাকা কেজিতে বিকোচ্ছে। প্রায় এক বছর আগে পেঁয়াজের গড় দাম ৪৬ টাকা প্রতি কেজি ছিল। দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাইয়ের মতো বেশ কিছু শহুরে এলাকায় পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৫০ থেকে ৬৫ টাকাতেও বিক্রি হচ্ছে বলেই জানা গিয়েছে।
রবিবার, টম্যাটো গড়ে ৪৫ টাকা প্রতি কিলোতে বিক্রি হয়েছে, গত মাসেই টম্যাটোর দাম ছিল ২৭ টাকা প্রতি কিলোগ্রাম। এক বছর আগে সেপ্টেম্বর মাসে টম্যাটোর দাম ছিল ৪১ টাকা প্রতি কিলোগ্রাম। সরকারি পরিসংখ্যামন থেকে জানা গিয়েছে কলকাতাতে ৯৩ টাকা কিলোগ্রাম দরে বিকোচ্ছে টম্যাটো। সরকারি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে দেশে মাত্রাতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের ফলে আগামি দিনে টম্যাটোর দাম আরও বাড়তে পারে।
রবিবার, কেন্দ্রীয় উপভোক্তা বিভাগের (Central Consumer affairs ministry) পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “গত বছরের তুলনায় পেঁয়াজ, আলু, টম্যাটোর দাম এই বছর কম।” কিন্তু সরকারি এই বিবৃতি সঠিক নয় বলেই দাবি অনেকের।
সাধারণত, প্রত্যেক বছরই যোগান কম থাকার কারণে সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর মাসের মধ্যে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পায়। নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে যখন আবার নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করে তখন আবার দাম কমতে শুরু করে। কেন্দ্রীয় উপভোক্তা দফতর সূত্র খবর, ১২ অক্টোবর পর্যন্ত মজুত করে রাখা ৬৭ হাজার টন পেঁয়াজ দিল্লি, কলকাতা, লখনউ, পটনা. রাচিঁ, হায়দরাবাদ, বেঙ্গালুরু, মুম্বইয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ বাজার গুলিতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও তারা আরও জানিয়েছে, তুলনায় কম গুণমানের পেঁয়াজ, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাটের স্থানীয় বাজার গুলিতে পাঠানো হয়েছে। ২১ টাকা কিলোপ্রতি দামে এই পেঁয়াজ বন্টন করা হয়েছে।
সরকার আসে, সরকার যায়। কিন্তু সাধারণ মানুষের অবস্থার পরিবর্তন ঘটেনা। করোনা ভাইরাসের আগমনে অনেকেই কাজা হারিয়েছেন বা কারোর রোজগার আগের থেকেই অনেকটাই কমে গিয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে এই মূল্যবৃদ্ধি সাধরাণ খেটে খাওয়া মানুষের সমস্যা যে অনেকটাই বাড়ালো তাতে কোনও সন্দেহ নেই।
আরও পড়ুন KLO: ‘সংগঠনে প্রবেশ করে দেখি সবটাই মিথ্যে’, আত্মসমর্পণ করলেন কেএলও জঙ্গি