KLO: ‘সংগঠনে প্রবেশ করে দেখি সবটাই মিথ্যে’, আত্মসমর্পণ করলেন কেএলও জঙ্গি

Balurghat: দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার রাহুল দে'র কাছে আত্মসমর্পণ করেন কেএলও জঙ্গি সুদীপ সরকার ওরফে পিন্টু বড়ুয়া কোচ।

KLO: 'সংগঠনে প্রবেশ করে দেখি সবটাই মিথ্যে', আত্মসমর্পণ করলেন কেএলও জঙ্গি
আত্মসমর্পণ করলেন কেএলও জঙ্গি সুদীপ সরকার ওরফে পিন্টু
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 18, 2021 | 2:01 PM

বালুরঘাট: আত্মসমর্পণ করলেন কামতাপুরি লিবারেশন অর্গানাইজেশন বা কেএলও (KLO) জঙ্গি সংগঠনের এক সদস্য। সোমবার বালুরঘাট (Balurghat) পুলিশ সুপারের অফিসে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার রাহুল দে’র কাছে আত্মসমর্পণ করেন কেএলও জঙ্গি সুদীপ সরকার ওরফে পিন্টু বড়ুয়া কোচ।

তাঁর বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জের বড়াপাড়া এলাকায়। সোমবার বালুরঘাটে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে আত্মসমর্পণ করলে ওই জঙ্গিকে হোম গার্ডের চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দেন পুলিশ সুপার। এ দিকে এই নিয়ে সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করেন জেলা পুলিশ সুপার রাহুল দে। পুলিশ সুপার ছাড়াও সাংবাদিক বৈঠকে হাজির ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহম্মদ নাসিম, ডিএসপি হেডকোয়ার্টার সহ পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের সদস্যরা।

সুদীপ সরকার সহ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় এখনও পর্যন্ত চারজন কেএলও জঙ্গি চাকরি পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। বাকি যারা লিংক ম্যান রয়েছেন, তাঁদেরকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার জন্য দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পুলিশ প্রশাসন সব রকম ভাবে চেষ্টা চালিয়ে আসছে। এ ছাড়াও লিংকম্যানেদের সঙ্গে সর্বোতভাবে যোগাযোগ রাখছেন আত্মসমর্পণকারী জঙ্গি সুদীপ সরকার।

এ বিষয়ে আত্মসমর্পণকারী জঙ্গি সুদীপ সরকার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গের কোন জঙ্গি সংগঠনের দরকার নেই বলে মনে করেন তিনি। যেটা ভেবে তিনি জঙ্গি সংগঠনে নাম লিখিয়েছিলেন, সংগঠনে প্রবেশ করে দেখেন সবটাই মিথ্যে। তাই সমাজের মূল স্রোতে ফিরে আসার জন্য জঙ্গি সংগঠন ছেড়ে আত্মসমর্পণ করেন পুলিশের কাছে।

অন্যদিকে, পুলিশ সুপার রাহুল দে জানিয়েছেন, আজ সুদীপ সরকার ওরফে পিন্টু বড়ুয়া কোচ কেএলও জঙ্গি সংগঠন থেকে তাঁদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। তাঁকে সমাজের মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনার জন্য সর্বোতভাবে সহযোগিতা করবে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পুলিশ প্রশাসন। পাশাপাশি তার চাকরির ব্যবস্থা করা হবে বলে পুলিশ সুপার আশ্বাস দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, কাজ না থাকায় ২০০৫ সালে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বেশ কয়েকজন নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠী কেএলও- তে যোগ দেয়। জানা যায়, হিলির উন্মুক্ত সীমানা দিয়ে অবৈধ ভাবে বাংলাদেশের চট্টগ্রামের এলাকায় কেএলওর জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবিরে অংশ নিত উত্তম রায়, প্রদীপ দাসরা। সেখানে পিস্তল থেকে একে-৪৭ চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হত। কী ভাবে লড়তে হবে তাও শেখানো হত। ভুল বুঝতে পেরে ও সরকারি চাকরির ঘোষণার পর অবশেষে ২০০৬ সাল থেকে একে একে সকলেই জেলার আদালতে আত্মসমর্পণ করে তারা। আত্মসমর্পণ করার পর থেকেই সব তথ্য নিয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে বারংবার দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। তবে অভিযোগ, আশ্বাস ছাড়া কোনও কিছুই মেলেনি তাঁদের।

আরও পড়ুন: Kerala Flood: আস্ত বাড়িটাকে যেন গিলে ফেলল নদী, বৃষ্টির দাপটে তছনছ ‘ভগবানের আপন দেশ’