Bjp Leader Murder: বিজেপি নেতা খুনে বালুরঘাটে মৌন মিছিল বের করল বিজেপি যুব মোর্চা
Silent Rally: আজ বিকেলে দলীয় কার্যালয় থেকে মৌন প্রতিবাদ মিছিলটি বের হয়।
বালুরঘাট: ইটাহারে বিজেপি যুব মোর্চার জেলা সাধারণ সম্পাদক মিঠুন ঘোষকেখুনের প্রতিবাদে মৌন মিছিল বের করল বিজেপি যুব মোর্চা। আজ বিকেলে এই প্রতিবাদ মিছিল বের করে তারা।
এদিনের এই মৌন প্রতিবাদ মিছিলে হাজির ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি বিনয় কুমার বর্মণ, বিজেপি যুব মোর্চার জেলা সভাপতি অভিষেক সেনগুপ্ত, তপন বিধানসভার বিধায়ক বুধরাই টুডু, গঙ্গারামপুর বিধানসভার বিধায়ক সত্যেন্দ্রনাথ রায়, প্রাক্তন জেলা সভাপতি শুভেন্দু সরকার, জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা।
আজ বিকেলে দলীয় কার্যালয় থেকে মৌন প্রতিবাদ মিছিলটি বের হয়। যা বালুরঘাট থানা মোড়ে এসে শেষ হয়। এই ঘটনা যারা যুক্ত রয়েছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে বিজেপি যুব মোর্চার জেলা সভাপতি অভিষেক সেনগুপ্ত।
তিনি বলেন,”মিঠুন ঘোষকে নৃশংস ভাবে গুলি করা হয়। এরপর রায়গঞ্জ মেডিক্য়াল কলেজে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। আমাদের রাজ্যসভাপতি ডক্টর সুকান্ত মজুমদার এখনও ওইখানে রয়েছেন। আমরা চাই কোনও রকম মিথ্যা অজুহাত না দেখিয়ে দোষীদের গ্রেফতার করা হোক। এবং খুব দ্রুত সেই গ্রেফতারি হোক। ” অভিষেক আরও যোগ করে বলেন,” মিঠুন ঘোষ ছিলেন মা-বাবার একমাত্র সন্তান। শুধুমাত্র বিজেপি করার অপরাধে প্রাণ দিতে হলো তাঁকে। এই কারণে আমরা মৌণ মিছিল করলাম। এর আগেও মিঠুনদাকে গুলি করা হয়। তখন তাঁর পায়ে গুলি লাগে। সেই সময় প্রাণে মারতে পারেনি। তাই এইবার তাঁকে মেরে ফেলে সেই বদলা নিল। ”
প্রসঙ্গত, রবিবার বাড়ির সামনেই বিজেপির যুব মোর্চার জেলা সহ-সভাপতিকে গুলি করে খুনের অভিযোগ ওঠে। গুলি করে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয় ওই নেতাকে। তাঁর পেটে একাধিক গুলি লাগে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিত্সকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মিঠুন ঘোষ নামে বছর বত্রিশের ওই বিজেপি যুব নেতার বাড়ি ইটাহারের রাজগ্রামে। ঘটনার খবর পেয়েই হাসপাতালে পৌঁছন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য কমিটির সদস্য প্রদীপ সরকার। প্রদীপ সরকার বলেন, “আমাদের যুব মোর্চার জেলার সহ সভাপতি মিঠুন ঘোষ। ইটাহার বিধানসভার রাজগ্রামে তার বাড়ি। রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ বাড়িতে ঢুকে মোটর বাইকটা রেখে বেরোয়। তখন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী কাশেম আলি ওর উপর বন্দুক নিয়ে হামলা চালায়। ওর পেটে গুলি করে। মিঠুন আমাদের মধ্যে আর নেই।”
তবে মিঠুন ঘোষের ওপর এর আগেও একবার হামলা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। এবিভিপির মনোনয়ন দাখিল করতে ইটাহার কলেজে যাওয়ার সময় আমাকে ও মিঠুন ঘোষকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়েছিল। মিঠুন গুলিবিদ্ধ হয়েছিল বলে দাবি করেন বিজেপি নেতা প্রদীপ সরকার। সেসময় তাঁর পায়ে গুলি লাগে।
তবে এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় পুলিশের হাতে দুটি নাম উঠে এসেছে। তাঁদের বিষয়ে খোঁজ করা শুরু করেছেন তদন্তকারীরা। রাত পেরলেও কেউ গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষোভ জমতে শুরু করেছে পরিবারের সদস্যদের মনে। পুলিশ জানিয়েছে, খুনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তদন্ত চলছে। অপরাধীরা দ্রুত ধরা পড়বে।