BJP Leader Murder: স্রেফ দুটি নাম ভাইকে বলে গিয়েছিলেন, ইটাহারে বিজেপি নেতা খুনে ‘ক্লু’ খুঁজতে হন্যে পুলিশ
Itahar: ঘটনার পর থেকে থমথমে হয়ে রয়েছে এলাকা। এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। রাতভর অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ।
উত্তর দিনাজপুর: কী কারণে খুন? নেপথ্যে কারা? রাত পোহানোর পরও হাতড়ে বেড়াচ্ছেন ইটাহারের (Itahar) নিহত যুব বিজেপি (Bengal BJP) নেতা মিঠুন ঘোষের পরিবারের সদস্যরা। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তদন্তকারীদের হাতে এসে পৌঁছয়নি বিশেষ কোনও তথ্য প্রমাণও। তবে পুলিশের হাতে উঠে এসেছে দুুটি নাম সুকুমার ঘোষ ও সন্তোষ মাহাতো। মৃতের ভাই অজিত ঘোষ পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, হাসপাতালে যাওয়ার পথে মিঠুন তাঁকে এই দুটি নাম জানিয়েছিলেন। তবে কী কারণে তাঁরা গুলি চালিয়েছে, আদৌ কী শত্রুতা ছিল তাঁদের সঙ্গে মিঠুন, বিস্তারিত কিছুটা জানা যায়নি।
এই দুই ব্যক্তির রাজনৈতিক পরিচয়, তাঁদের ‘হিস্ট্রি’ জানছে পুলিশ। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই এ বিষয়ে বিশেষ কিছুই বলতে চাইছেন না তদন্তকারীরা। ঘটনার পর থেকে থমথমে হয়ে রয়েছে এলাকা। এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। রাতভর অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। তবে বিজেপি যুব নেতা খুনে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক জলঘোলা। পরিবারের সদস্যরা এখও পর্যন্ত এ বিষয়ে কিছু বলেননি।
প্রসঙ্গত, রবিবার বাড়ির সামনেই বিজেপির যুব মোর্চার জেলা সহ-সভাপতিকে গুলি করে খুনের অভিযোগ ওঠে। গুলি করে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয় ওই নেতাকে। তাঁর পেটে একাধিক গুলি লাগে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিত্সকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মিঠুন ঘোষ নামে বছর বত্রিশের ওই বিজেপি যুব নেতার বাড়ি ইটাহারের রাজগ্রামে। ঘটনার খবর পেয়েই হাসপাতালে পৌঁছন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য কমিটির সদস্য প্রদীপ সরকার। প্রদীপ সরকার বলেন, “আমাদের যুব মোর্চার জেলার সহ সভাপতি মিঠুন ঘোষ। ইটাহার বিধানসভার রাজগ্রামে তার বাড়ি। রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ বাড়িতে ঢুকে মোটর বাইকটা রেখে বেরোয়। তখন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী কাশেম আলি ওর উপর বন্দুক নিয়ে হামলা চালায়। ওর পেটে গুলি করে। মিঠুন আমাদের মধ্যে আর নেই।”
তবে মিঠুন ঘোষের ওপর এর আগেও একবার হামলা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। এবিভিপির মনোনয়ন দাখিল করতে ইটাহার কলেজে যাওয়ার সময় আমাকে ও মিঠুন ঘোষকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়েছিল। মিঠুন গুলিবিদ্ধ হয়েছিল বলে দাবি করেন বিজেপি নেতা প্রদীপ সরকার। সেসময় তাঁর পায়ে গুলি লাগে।
তবে এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় পুলিশের হাতে দুটি নাম উঠে এসেছে। তাঁদের বিষয়ে খোঁজ করা শুরু করেছেন তদন্তকারীরা। রাত পেরলেও কেউ গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষোভ জমতে শুরু করেছে পরিবারের সদস্যদের মনে। পুলিশ জানিয়েছে, খুনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তদন্ত চলছে। অপরাধীরা দ্রুত ধরা পড়বে।
আরও পড়ুন: BJP Leader Murder: বাড়ির সামনে গুলিতে ঝাঁঝরা বিজেপি যুব মোর্চার জেলা সহ-সভাপতি