মণিপুরের আকাশে উড়ন্ত চাকির মতো ওটা কী! হাসিমারা থেকে উড়ে গেল রাফাল, কী ছিল আসলে?

UFO: ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসের কথা ভাবুন। মণিপুরে বীর টিকেন্দ্রজিত্‍ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ওপর রাফালের গর্জন। বিমানবন্দর সংলগ্ন ২০ কিলোমিটার এলাকায় নজরদারি চালিয়েছিল ভারতীয় বায়ুসেনার সেরা যুদ্ধবিমান।

মণিপুরের আকাশে উড়ন্ত চাকির মতো ওটা কী! হাসিমারা থেকে উড়ে গেল রাফাল, কী ছিল আসলে?
প্রতীকী চিত্র।Image Credit source: Meta AI
Follow Us:
| Updated on: Jan 09, 2025 | 6:13 AM

নয়া দিল্লি: ১৬-১৭ বছর আগের একটা দিন। ওইদিন এমন একটা ঘটনা ঘটেছিল, যার কথা আগে কখনও প্রকাশ্যে আসেনি। বায়ুসেনার ইস্টার্ন কম্যান্ডের অধীনে অসমের কোনও একটা অংশ। নজরদারির সময় পাইলটের চোখে পড়ে রহস্যজনক উড়ন্ত কিছু একটা দ্রুত এগিয়ে আসছে। জিনিসটা কী চোখে দেখে বোঝার উপায় নেই। ককপিটে থাকা অভিজ্ঞ পাইলট বুঝে যান, শক্রর যুদ্ধবিমান ঢুকে পড়েছে। বোঝামাত্র মিসাইল সিস্টেম লক, এবং ফায়ার। দু-দুবার মিসাইল চার্জ করার পর আলোর ঝলকানি ছাড়া আর কিছু চোখে পড়েনি। ব্যাপারটা কী হল?

যুদ্ধবিমান বা অ্যান-ম্যানড কোনও ড্রোন হলে কিছু একটা ঘটত। কিন্তু কিছুই তো হল না। ব্যাপারটা ভাবতে ভাবতে ফিরে যান পাইলট ও রিপোর্ট করেন। রিপোর্টে লেখেন, ভারতের আকাশে আনআইডেন্টিফায়েড ফ্লাইং অবজেক্ট বা ইউএফও-ঢুকে পড়েছিল। হয়তো শক্রর পাঠানো। বা হয়ত ভিনগ্রহের বাসিন্দাদের। আমি সেটাকেই যুদ্ধবিমান ভেবে মিসাইল চার্জ করি।

সেই প্রথম ইউএফও-র সঙ্গে ভারতীয় বায়ুসেনার টক্কর। বায়ুসেনার তদন্তে উঠে আসে, ইউএফও নয়, অরোরা বোরিয়ালিস বা মেরুপ্রভার দেখে বিভ্রান্ত হয়েছিলেন পাইলট। সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের পডকাস্টে সেই ঘটনার কথা বললেন ভারতীয় সেনা অবসরপ্রাপ্ত এয়ারমার্শাল দিলীপ পট্টনায়েক।

আবার ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসের কথা ভাবুন। মণিপুরে বীর টিকেন্দ্রজিত্‍ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ওপর রাফালের গর্জন। বিমানবন্দর সংলগ্ন ২০ কিলোমিটার এলাকায় নজরদারি চালিয়েছিল ভারতীয় বায়ুসেনার সেরা যুদ্ধবিমান। কী এমন হয়েছিল যে হাসিমারা থেকে রাফাল আনা হয়? ওইদিন বিমানবন্দরের খুব কাছে উড়ন্ত চাকির মতো বস্তু দেখা গিয়েছে বলে রিপোর্ট করেন এক পাইলট। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ডিজিসিএ-র কাছে তা পাঠিয়ে দেন। জায়গাটা মণিপুর। তাই ঝুঁকি না নিয়ে রাফাল পাঠানো হয়েছিল।

শুধু ভারত কেন? আমেরিকাও এই রহস্যময় আলো, উড়ন্ত চাকি নিয়ে নাজেহাল। আমেরিকার আকাশে শয়ে শয়ে উড়ন্ত চাকি দেখা যাচ্ছে। যে কোনও মুহূর্তে বড় বিপদ ঘটতে পারে। মার্কিন বায়ুসেনার কাছে অভিযোগ পেয়ে নাসার দ্বারস্থ হয়েছিল পেন্টাগন। পেন্টাগন সঠিক ভাবে কিছু বলতে পারেনি। শুধু বলেছিল,ইউএফও থাকতে পারে, আবার নাও পারে। ভিনগ্রহের প্রাণীরা থাকতেও পারেন আবার নাও পারেন। সেই রিপোর্ট জমা করে নাসার ডিরেক্টর বলেছিলেন, “আমি মনে করি ভিনগ্রহীরা আছে। ইউএফও আছে। খালি আমরা প্রমাণ পাচ্ছি না”। ভারতের বায়ুসেনার অবসরপ্রাপ্ত এয়ার মার্শাল বলছেন যে ইউএফও বলে কিছু নেই। বিজ্ঞানে যার প্রমাণ, তা নিয়ে হইচইয়ের মানে নেই।