Exclusive Interview with Jignesh Mevani: ‘বিজেপি-র গ্রাউন্ড রিপোর্ট, গুজরাটে ৫০-৬০টি আসন পাবে’

অলিখিতভাবে কংগ্রেসে যোগদানের পর টেলিভিশনে দেখা গেল, এক ঝাঁক রিপোর্টারের মাঝে ইন্টারভিউ দিতে দিতে ঘেমে-নেয়ে একসা। এর মাঝে ফোনালাপ আদৌ কি সম্ভব? ভাবতে ভাবতেই হঠাৎই জিগ্নেশ মেবাণীরই (Jignesh Mevani) কল ভেসে ওঠে ফোনে। এত ব্যস্ততার মধ্যেও ফোন!

Exclusive Interview with Jignesh Mevani: 'বিজেপি-র গ্রাউন্ড রিপোর্ট, গুজরাটে ৫০-৬০টি আসন পাবে'
জিগ্নেশ মেবাণীর এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকার। গ্রাফিক্স- অভিজিৎ বিশ্বাস
Follow Us:
| Updated on: Oct 06, 2021 | 5:14 PM

বলেছিলেন, ফুরসত মিললেই কথা বলবেন। মিনিট দশেক। ‘বড় জাহাজে’ সওয়ার হওয়া মেয়ু গ্রামের দেহাতি ছেলেটির এখন টিকি পাওয়া দায়। এমনিতে অত্যন্ত প্রাণবন্ত, ‘মাটিতে পা রেখে চলেন’। মোদী বিরোধী যে কটা কণ্ঠস্বর শোনা যায়, তার মধ্যে অন্যতম এই দেহাতি কণ্ঠ। সাংবাদিকতা ছেড়ে ট্রেড ইউনিয়নে যোগ, এরপর উনা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দলিতদের ‘পোস্টার বয়’ হয়ে ওঠা। অলিখিতভাবে কংগ্রেসে যোগদানের পর টেলিভিশনে দেখা গেল, এক ঝাঁক রিপোর্টারের মাঝে ইন্টারভিউ দিতে দিতে ঘেমে-নেয়ে একসা। এর মাঝে ফোনালাপ আদৌ কি সম্ভব? ভাবতে ভাবতেই হঠাৎই জিগ্নেশ মেবাণীরই (Jignesh Mevani) কল ভেসে ওঠে ফোনে। এত ব্যস্ততার মধ্যেও ফোন! বিরক্ত করার জন্য কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে সরি বলার চেষ্টা করি। উত্তেজিত জিগ্নেশের আমার সরি শোনা তো দূর, নিজেই একগাল হেসে ক্ষমা চেয়ে নিলেন। বললেন, “কিছু মনে করবেন না, এই খবর শোনার পর আমার কেন্দ্র থেকে মানুষজনের এত ফোন আসছে, কোনওভাবেই সময় করতে পাচ্ছিলাম না।” ফের আরও এক বার ‘সরি’ বললেন জিগ্নেশ।

ঘড়ির কাঁটায় অলরেডি কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। হাতে দশটা মিনিট। প্রশ্ন অনেক। এর মধ্যে জিগ্নেশ তাঁর নতুন জীবনের কথা বলতে মশগুল। এসব আবার সম্পূর্ণ সাক্ষাৎকারের সিলেবাসের বাইরে। কিছুক্ষণ অফ রেকর্ড কথা বলার পর সম্বিত ফেরে জিগ্নেশের। তারপর এমন ব্যাতিব্যস্ত হয়ে পড়লেন, যেন ঘোড়ায় জিন দিয়ে এসেছেন। ফলে সরাসরি ইন্টারভিউয়ে ঢুকে যাওয়া হল।

বললাম, ২০১৭ বিধানসভা নির্বাচনে বডগামে আপনার বিরুদ্ধে কংগ্রেস প্রার্থী দেয়নি। মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন কংগ্রেসের বিদায়ী বিধায়ক মণিলাল বাঘেলা। আসলে প্রথম থেকেই সেটিং ছিল আপনার! আজ সেটা খাতায় কলমে সারলেন, তাই তো?

-কংগ্রেস এবং আমার মধ্যে প্রথম থেকেই ডিক্লেয়ার্ড বা আনডিক্লেয়ার্ড অ্যালায়েন্স ছিল। এর কারণ একদম স্পষ্ট। সিপিআই-সিপিএম, সপা-বসপা, টিএমসি-এনসিপি, কংগ্রেস বা অন্যান্য দল – এরা কেউই সংবিধান এবং গণতন্ত্রকে খতম করতে চায় না। একমাত্র বিজেপি চায়। তাই, যা কিছু ঘটে যাক, যে কেউ জিতুক, আমার মাথাব্য়াথ্যা নেই। কিন্তু বিজেপি যেন না জেতে। এটাই আমার এজেন্ডা ছিল। কংগ্রেস তো আরএসএস নয়, রাহুল গান্ধীও কোনও দিন আরএসএস-এর সঙ্গে সমঝোতা করবেন না। এটা ছিল কংগ্রেসের সঙ্গে আমার বোঝাপড়া। আর এই বোঝাপড়া থেকে একধাপ এগিয়ে একসঙ্গে কিছু করার চেষ্টা এবং বিজেপি-আরএএস-কে হারানোই এখন মূল এজেন্ডা।

গুজরাটে গত নির্বাচনে কংগ্রেস নিজের ভোট শতাংশ বাড়িয়েছে। ২০১২ সালে ভোট শতাংশ ছিল প্রায় ৩৯ শতাংশ। ২০১৭-এ ৪১.৪ শতাংশ। ১৬টি আসনও বেশি পেয়েছিল। সদ্য কংগ্রেস সভাপতি হওয়া রাহুল গান্ধীর হাত যদি সে দিনই ধরতেন, হয়ত কংগ্রেস ক্ষমতায় আসতে পারত। সেই হাত ধরলেন, তাহলে এত দেরিতে কেন? সে দিনের সিদ্ধান্ত কি ভুল ছিল?

-নির্দল বিধায়ক হিসাবে যে ভাবে মানুষের জন্য কাজ করেছি, গুজরাটে দলিতদের বঞ্চনা তুলে ধরার চেষ্টা করছি, তাতে মানুষ আমার কাজে সন্তুষ্ট। তারাও এখন চাইছেন, জিগ্নেশ ভাই আরও বড় রোলে আসুক। আমারও মনে হয়। কংগ্রেসেরও মনে হচ্ছে। তাই এখন ‘অবজেক্টিভ কনডিশন’ তৈরি হয়েছে।

কংগ্রেস মানে তো রাহুল গান্ধী চাইছেন। কিন্তু বিজেপি তো তাঁকে ‘সিরিয়াস পলিটিসিয়ান’ হিসাবে মানেই না। তাদের কটাক্ষ, দলের বিপদের সময় রাহুলকে পাওয়া যায় না। বিদেশে থাকেন। এটা যে খুব ভুল তাও নয়। মাঝেমাঝেই ‘অ্যাবসেন্ট’ থাকেন তিনি। জাহাজের ক্যাপ্টেন যদি এমন হয়, তাহলে তো আপনার বা কানহাইয়ার স্বপ্ন লক্ষ্য ভ্রষ্ট হবে?

-রাহুল গান্ধী অত্যন্ত সিরিয়াস, কমিটেড, ডেডিকেটেড মানুষ। কানহাইয়া-হার্দিক-জিগ্নেশদের খুঁজে খুঁজে দলে নিয়ে এসেছেন তিনি। বিজেপি আমাদের বিরুদ্ধে বলবে, এটা আশ্চর্যের বিষয় নয়। তারা বলুক। আমরা পরোয়া করি না।

তাহলে আপনার কাছে রাহুল গান্ধী ‘সিরিয়াস পলিটিসিয়ান’?

-অবশ্যই। পাশাপাশি এও বলছি, মোদীজি দেশের প্রধানমন্ত্রী নন, তাঁর চিন্তা কেবল কর্পোরেটদের জন্য। দেশের জন্য কিছু করেননি তিনি। তাঁর থেকে রাহুল গান্ধী অনেক বেশি দেশের কথা ভাবেন।

রাহুল গান্ধীর মতো একই প্রশ্ন কংগ্রেস দলটিকে ঘিরেও। আইডিওলজির সাদৃশ্য থাকায় কানহাইয়া এবং আপনি দলে যোগ দিলেন। কিন্তু সংগঠন? বড় জাহাজে উঠে দেখলেন হাজারো ছিদ্র। তার উপর ক্যাপ্টেন নেই। জাহাজের এখন কি হাল পঞ্জাব দেখলেই বোঝা যায়।

-দেখুন, হার্দিক-কানহাইয়ার মতো কিছু লোক যখন আসবে, তার সঙ্গেও কিছু লোক যাবেন। দলে এমন আসা-যাওয়া হতেই থাকে। যারা যাচ্ছেন, তাদের নিয়ে চিন্তা করে লাভ নেই। কিন্তু নতুন যারা আসছেন, তাদের কীভাবে ধরে রাখা যায়, চিন্তা করতে হবে তা নিয়ে। বেকারত্বের মতো ইস্যু সামনে রেখে বড় আন্দোলন করা যায়, এটাই আমার প্রায়োরিটি।

এখন পর্যন্ত দলে সভাপতি নেই। ফুলটাইম প্রেসিডেন্টের জন্য সওয়াল করছেন কপিল সিব্বলরা। অনেকে বলছেন, শুধু মাত্র কম্যান্ড না থাকার জন্য পঞ্জাবের এই হাল। আপনার রাজ্যেও প্রায় একই অবস্থা। ধরে নিই এই টালবাহানা যদি চলে, মাস আটেক পর গুজরাটে নির্বাচনের সময়েও প্রেসিডেন্ট না ঠিক হয়, তাহলে কি কোনও প্রভাব পড়বে বিধানসভা নির্বাচনে? বাস্তব কিন্তু বলছে পড়বে…

-কিছু সিদ্ধান্ত দলের সিনিয়র লিডারের হাতে ছেড়ে দেওয়া উচিত। দলের এখন আমি কেউ নই, কীভাবে এই বিষয়ে কমেন্ট করতে পারি বলুন…।

কংগ্রেসের হিতাকাঙ্খী হিসাবে তো বলতে পারেন?

-কংগ্রেসের নিজস্ব কর্মপদ্ধতি রয়েছে। যেটা হয়নি, আজ নয় তো কাল, কাল নয় তো পরশু হয়ে যাবে চিন্তার কী আছে?

সামনেই কিন্তু গুজরাট নির্বাচন!

-দেখুন , সব থেকে বড় বিষয়, বিজেপির বিরুদ্ধে বেকারত্ব- মূল্যবৃ্দ্ধির মতো ইস্যু নিয়ে লড়ছেন রাহুল গান্ধী। কোভিড নিয়ে সরকারের টালবাহানার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে গুজরাটের কংগ্রেসও। যেখানে শুধু পদের ব্যাপার, আজ নয়তো কাল হয়ে যাবে। এটা কোনও বড় ইস্যুই নয়।

বিজেপি তো এখন থেকেই গুজরাটে ঘুঁটি সাজাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী-সহ ক্যাবিনেটই পাল্টে ফেলল

– বদলাতেই হবে। কেননা, কোভিডে বিজয় রূপাণীর সরকার যে অব্যবস্থা তৈরি করেছিল, বিজেপির কাছে গ্রাউন্ড থেকে রিপোর্ট আসছিল ৫০ থেকে ৬০ আসন পাবে। প্রবল সরকার বিরোধী হাওয়া বইছে গুজরাটে। এটা বিজেপি বুঝতে পারেছে। অ্যান্টি-ইনকামবেন্সি-কে সেটিং করতে মন্ত্রিসভা পাল্টে ফেলল। এই হচ্ছে বিজেপির স্ট্রেটেজি। স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে ঠিক করা তাদের উদ্দেশ্য নয়। গুজরাটের মানুষও এটা বুঝতে পারছে।

নির্দল জিগ্নেশ মেবাণী বিজেপির বিরুদ্ধে যতটা সপ্রতিভ, কংগ্রেস ঢুকে আসলে বিজেপিরই সুবিধা করে দিলেন না কি? কানহাইয়ার ক্ষেত্রেও একই তত্ত্ব খাটে।

-বিজেপির কাছে আমি শুধুমাত্র নির্দল বিধায়ক ছিলাম। এখন বড় ইকো-সিস্টেম, বড় পার্টির অংশীদার। এখন লড়াই করার জন্য আমার শক্তি এবং ক্ষমতা আরও বাড়বে। আমার কাছে পুরো পার্টি ক্যাডার থাকবে। কাজ করার জন্য বড় প্ল্যাটফর্ম থাকবে। যারা আমাকে পছন্দ করেন তাঁরা তো থাকছেনই…

কানহাইয়ার মতো একটু ডিপ্লোম্যাটিক হয়ে পড়বেন না তো!

-আগে যা বলতাম, আজও তাই বলব। আগে যেভাবে লড়াই করতাম, লড়াই তেমনই চলবে। এর সঙ্গে একটা বড় পার্টির সমর্থন থাকছে। এটা প্লাস পয়েন্ট।

কিন্তু কংগ্রেসের বিরুদ্ধে যে সব দুর্নীতি রয়েছে, আপনার স্বচ্ছ ভাবমূর্তিতে দাগ পড়তে বাধ্য…আপনাকে জবাবদিহিও করতে হবে

-এই দেশে সবথেকে বেশি অভিযোগ কারোর বিরুদ্ধে থাকলে তা মোদীজির বিরুদ্ধে। দুর্নীতি থেকে সাম্প্রদায়িকতা…

মোদীজির কথা ছাড়ুন আপনার রাজনৈতিক কেরিয়ারে আলাদা বার্ডেন হতে পারে কংগ্রেস..

-একটাই কথা বলব, কংগ্রেস পার্টিতে জয়েন করার পর আমার শক্তি আরও বাড়বে।

আপনি যেহেতু কানহাইয়ার অত্যন্ত ক্লোজ, তাই প্রশ্ন আপনাকে, সিপিআই বা জেএনইউ-র প্রাক্তনরা অনেকেই তাঁকে ‘অপরচুনিস্ট’ বলছেন, আপনি কীভাবে ব্যাখ্যা করবেন কানাহাইয়ার সিদ্ধান্তকে?

-কানহাইয়া অপরচুনিস্ট যদি হতো, তাহলে বিজেপি জয়েন করতো। ক্ষমতা, কর্পোরেট লুক- সব তো বিজেপিতে। লড়াই করার জন্যই কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন।

কানহাইয়াকে কেন বিজেপি নিতে যাবে? যেখানে কানহাইয়াকে টুকরে টুকরে গ্যাং বলে কটাক্ষ করে বিজেপি, তাদেরই হাতিয়ার ভোঁতা হবে…

-না না, এমন কোনও কথা নেই। কংগ্রেসের সবচেয়ে খারাপ লোকদের বিজেপি সাদরে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। ২০১৭ গুজরাট নির্বাচনে কংগ্রেসের ১৩-১৪ জন নেতা বিজেপিতে জয়েন করে। আগে তাদের উঠতে বসতে গালি দিত বিজেপি।

গুজরাটের হরিজনদের নিয়ে লড়াই শুরু করেছিলেন গান্ধীজি। তাঁর কংগ্রেস এ দেশে ৭০ বছর শাসন করেছে। দলিত আন্দোলনের ‘পোস্টার বয়’ জিগ্নেশ মেবানীর কি কখনও মনে হয় না, এতদিন পরেও কি লড়াইয়ের প্রয়োজন ছিল? আসলে কংগ্রেসও তো দলিতদের নিয়ে ভোট ব্যাঙ্কের খেলা খেলেছে।

-দলিতের অবস্থা পরিবর্তন হয়েছে কিনা তার থেকে বড় কথা বিজেপি যে এজেন্ডা নিয়ে চলে তাতে দলিতের সমস্যা আরও বাড়ছে। বিজেপি অ্যান্টি দলিত দল, আম্বেদকরকে কখনও মানেনি তারা, কিন্তু যারা দলিতের হয়ে কথা বলছে, তাদের সঙ্গে আমি আছি। তাদের সঙ্গে থেকে আরও বেশি করে দলিতের হয়ে কাজ করতে চাই।

যতদূর মনে পড়ে, ২০১৮ সালে কানহাইয়ার সঙ্গে বামেদের এক সভায় কলকাতায় এসেছিলেন আপনি। বামেদের মঞ্চে দাঁড়িয়ে আপনি বলেছিলেন, বিজেপিকে হারাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরা উচিত বামেদের। এখন কি মমতার হাত ধরতে কংগ্রেসকেও একই উপদেশ দেবেন?

-কংগ্রেস দেশের সবচেয়ে বড় বিরোধী পার্টি। তাই সব বিজেপি বিরোধী দলের বড় ছাতার তলায় এসে লড়াই করা উচিত সংবিধান বাঁচানোর জন্য। এইটুকুই বলতে চাই।

বাংলার নির্বাচন আপনাকে কতটা শেখালো? আপনার রাজ্যেও প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপিই

-মমতা দিদি দারুণ লড়াই করেছেন। আমি অভিভূত। মমতার সঙ্গে আমার ভাল সম্পর্ক। (বুঝতে পারছি, ঘড়ির কাঁটা থেমে গিয়েছে। একের পর এক ফোন ঢুকছে তাঁর মোবাইলে। কার্যত বার্গেনিং চলছে, জিগ্নেশজি অর একটা প্রশ্ন…)

কানহাইয়া কুমার, হার্দিক প্যাটেল, তেজস্বী যাদবের মতো নতুন প্রজন্ম দেশের রাজনীতিতে আলাদা জায়গা করে নিয়েছেন। তৃণমূলও চাইছে, অভিষেককে প্রোজেক্ট করতে। তাঁকে আপনার কেমন লাগে?

-ঠিক আছে, দেশের নেতা হওয়ার জন্য আগাম শুভেচ্ছা রইল আমার তরফ থেকে

(না না করে, শেষ পাতে যেন আর একটা মিষ্টি!) মোদীর এত সমালোচনা করেন, তাঁর কোন বিষয়টা ভাল লাগে আপনার?

-উনি মিথ্যে কথা বলেন, এটা আমার দারুণ লাগে। কারণ, বারবার ধরা পড়ে যান যে তিনি।