নয়া দিল্লি: নতুন বছরেই পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে চড়েছে উত্তাপ। করোনার ঢেউ সামাল দিয়েই ফেব্রুয়ারি মাস থেকে শুরু হয়েছে উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পঞ্জাব, গোয়া ও মণিপুরের বিধানসভা নির্বাচন। বাকি চার রাজ্যে ভোটগ্রহণ পর্ব শেষ হলেও, উত্তর প্রদেশে শেষ এক দফা নির্বাচন বাকি। আগামিকাল, ৭ মার্চ উত্তর প্রদেশে সপ্তম তথা শেষ দফার নির্বাচন। আগামী ১০ মার্চ একসঙ্গেই পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনের ফল প্রকাশ হবে। উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, গোয়া ও মণিপুরে শাসক দলের ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। অন্য়দিকে পঞ্জাবে ক্ষমতায় রয়েছে কংগ্রেস। এবারের নির্বাচনে পাশা বদল হয় কিনা, তাই-ই এখন দেখার।
নির্বাচন কমিশনের তরফে ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ মার্চ অবধি যাবতীয় এক্সিট পোলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তবে ৭ মার্চ সন্ধে ৬টার পর থেকে এক্সিট পোল প্রকাশ করা যাবে। একাধিক সংস্থার তরফে এই বুথ ফেরত সমীক্ষা করা হবে। TV9 ভারতবর্ষের তরফেও প্রকাশ করা হবে বুথ ফেরত সমীক্ষা।
নির্বাচনের আগে যেমন কোন দল কত শতাংশ ভোট পেতে পারে, তার পূর্বাভাস দেওয়া হয়, একইভাবে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষের পরও ভোটারদের মতামত গ্রহণ করে আগাম ফলের পূর্বাভাস দেওয়া হয়। নির্বাচনের আগে ভোটের ফলাফলের পূর্বাভাসকে জনমত সমীক্ষা (Opinion Poll) বলে এবং ভোট পরবর্তী সমীক্ষাকে বুথ ফেরত সমীক্ষা (Exit Poll) বলা হয়। বুথ ফেরত সমীক্ষার প্রধান লক্ষ্যই হল ভোটারদের কাছ থেকে তাদের মতামত সংগ্রহ করে মোট জনমতের হিসাব করা এবং তার ভিত্তিতে কোন দল জয়ী হতে পারে, তার পূর্বাভাস দেওয়া।
উত্তর প্রদেশ- উত্তর প্রদেশে মোট আসন সংখ্যা ৪০৩। উত্তর প্রদেশে মোট ভোটারের সংখ্যা ১৫ কোটি ৫ লক্ষ ৮২ হাজার ৭৫০। ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মোট বুথের সংখ্যা ১ লক্ষ ৭৪ হাজার ৩৫১।
পঞ্জাব- পঞ্জাবে মোট আসন সংখ্যা ১১৭। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যে মোট ভোটারের সংখ্যাা ২ কোটি ১৩ লক্ষ ৮৮ হাজার ৭৬৪। বিধানসভা নির্বাচনে মোট বুথের সংখ্যা ছিল ২৪ হাজার ৬৮৯।
উত্তরাখণ্ড- উত্তরাখণ্ডে মোট আসন সংখ্যা ৭০। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, উত্তরাখণ্ডে মোট ভোটারের সংখ্যা ৮২ লক্ষ ৩৮ হাজার ১৮৭। রাজ্যে মোট বুথের সংখ্যা ছিল ১১ হাজার ৬৪৭।
মণিপুর- মণিপুরে মোট বিধানসভা কেন্দ্রের সংখ্যা ৬০। মোট ভোটারের সংখ্যা ২০ লক্ষ ৫৬ হাজার ৯০১। মোট বুথের সংখ্যা ২৯৫৯।
গোয়া- গোয়ায় মোট আসনসংখ্যা ৪০। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, মোট ভোটারের সংখ্যা ১১ লক্ষ ৫৬ হাজার ৭৬২।