COVID-19 Sub Variant BF.7: চিনে করোনার সুনামি, কতটা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ভারতেও খোঁজ মেলা নতুন ভ্যারিয়েন্ট?

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Dec 22, 2022 | 6:29 AM

COVID-19 in China: শুধু চিন নয়, বর্তমানে আমেরিকা, ব্রিটেন, বেলজিয়াম, জার্মানি, ফ্রান্স, ডেনমার্ক-সহ বিভিন্ন দেশে এই সাবভ্যারিয়েন্টের খোঁজ মিলেছে।

COVID-19 Sub Variant BF.7: চিনে করোনার সুনামি, কতটা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ভারতেও খোঁজ মেলা নতুন ভ্যারিয়েন্ট?
চিনে হু হু করে বাড়ছে করোনা। ছবি:PTI

Follow Us

বেজিং: করোনার সুনামি এসেছে চিনে (China)। যে চিন থেকেই করোনা ভাইরাস গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছিল, সেখানেই ফের একবার হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ (COVID-19)। ধীরে ধীরে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে আশেপাশের দেশগুলিতেও। আর এই কারণেই উদ্বেগে কেন্দ্রীয় সরকার। ইতিমধ্যেই বুধবার দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে বসে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই বৈঠকে ফের একবার মাস্ক পরা থেকে শুরু করে যাবতীয় কোভিডবিধি অনুসরণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এদিকে বিকেল হতেই জানা গেল, চিনে করোনার যে ভ্যারিয়েন্টের কারণে সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত, তার খোঁজ ভারতেও মিলেছে। আক্রান্ত রোগীদের জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে জানা গিয়েছে, হঠাৎ সংক্রমণ বৃদ্ধির পিছনে দায়ী করোনার সাব ভ্যারিয়েন্ট বিএফ.৭ (Sub Variant BF.7)।  চিনের অধিকাংশ আক্রান্তের শরীরেই পাওয়া গিয়েছে এই সাব ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি।

কতটা ভয়ঙ্কর এই নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট?

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের তথ্য অনুযায়ী, করোনার অন্যতম শক্তিশালী রূপ ওমিক্রনেরই সাব ভ্যারিয়েন্ট হল বিএফ.৭। ওমিক্রনের বিএ.৫ থেকে সাব ভ্যারিয়েন্ট হিসাবে তৈরি হয়েছে এই ভাইরাস।

বিএফ.৭ সাব ভ্যারিয়েন্টের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল এটি অত্যন্ত সংক্রমণশীল। এই ভাইরাসের সাব ভ্যারিয়েন্টের শরীরে স্থায়ীত্ব বা ইনকিউবেশন পিরিয়ডও তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কম। ফলে দ্রুত যেমন সংক্রমণ ছড়াতে পারে, তেমনই একবার সংক্রমিত হলে, দ্রুত তা গোটা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।

করোনার এই সাব ভ্য়ারিয়েন্ট এতটাই শক্তিশালী যে যারা টিকাপ্রাপ্ত, তারাও সহজেই করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন। তবে এই সংক্রমণ প্রাণঘাতী রূপ নিতে পারে কি না, সে বিষয়ে এখনও জানা যায়নি।

শুধু চিন নয়, বর্তমানে আমেরিকা, ব্রিটেন, বেলজিয়াম, জার্মানি, ফ্রান্স, ডেনমার্ক-সহ বিভিন্ন দেশে এই সাবভ্যারিয়েন্টের খোঁজ মিলেছে।

চিনের করোনার সংক্রমণ ভয়াবহ আকার ধারণ করার অন্যতম কারণ হল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম। অন্যান্য দেশের তুলনায় চিনে টিকাকরণের হার তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কম হওয়ায়, সেখানে দ্রুত সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। পাশাপাশি চিনের নিজস্ব ভ্যাকসিন সিনোভ্যাক ও সিনোফার্মের কার্যকারীতা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।

গবেষকদের একাংশের মত, চিনের পূর্ববর্তী সংক্রমণের পরে আক্রান্তদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠেনি বা গড়ে উঠলেও, তা করোনার এই শক্তিশালী সাব ভ্যারিয়েন্টকে রুখতে ব্যর্থ।

চিনের করোনা আক্রান্তদের জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে যেভাবে দ্রুত বিবর্তন দেখা গিয়েছে, তাতে গবেষকদের আশঙ্কা শীঘ্রই একটি নতুন ভ্যারিয়েন্ট তৈরি হতে পারে।

Next Article