নয়া দিল্লি: বিদেশযাত্রা এবার আরও সহজ হতে চলেছে। শীঘ্রই চালু হতে চলেছে ই-পাসপোর্ট (E-Passport)। শনিবার পাসপোর্ট সেবা দিবসে নয়া দিল্লিতে আয়োজিত পাসপোর্ট সেবা প্রোগ্রামে (PSP) এমনই ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী এস.জয়শঙ্কর (S. Jaishankar)। তিনি বলেন, “ভারত শীঘ্রই ‘পাসপোর্ট সেবা কর্মসূচি’র (PSP-সংস্করণ ২.০) দ্বিতীয় ধাপে যাত্রা শুরু করবে। যার মধ্যে নতুন এবং আপগ্রেড করা ই-পাসপোর্ট রয়েছে।” এদিন পাসপোর্ট সেবা দিবসে বিদেশমন্ত্রী ভারত ও বিদেশে পাসপোর্ট ইস্যুকারী কর্তৃপক্ষকে জনগণকে ‘সময়মতো, নির্ভরযোগ্য, স্বচ্ছ এবং দক্ষ পরিষেবা’ দেওয়ার অঙ্গীকার করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিন বিদেশমন্ত্রী আরও বলেন, “নাগরিকদের জীবনযাত্রা সহজ করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী (নরেন্দ্র মোদী) ‘EASE’ নামক এক বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন। যার অর্থ হল, E: ডিজিটাল ইকো-সিস্টেম ব্যবহার করে নাগরিকদের পাসপোর্ট পরিষেবা উন্নত করা। A: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-চালিত পরিষেবা সরবরাহ। S: চিপ-নির্ভর ই-পাসপোর্ট ব্যবহার করে বিদেশ ভ্রমণ সহজ করা এবং E: উন্নত ডেটা নিরাপত্তা।”
নাগরিকদের পাসপোর্ট-সমস্যা মেটাতে এবং বিদেশযাত্রা মসৃণ করতে বিদেশমন্ত্রী ভারত ও বিদেশে পাসপোর্ট ইস্যুকারী কর্তৃপক্ষকে বিশেষ অঙ্গীকার করার আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁর সেই বার্তা পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষ সহ সকলের কাছে পৌঁছে দিতে টুইট করেছেন বিদেশমন্ত্রকের সচিব অরিন্দম বাগচি।
Here is a message from EAM @DrSJaishankar, as we observe the Passport Seva Divas today. #TeamMEA reaffirms its commitment to provide passport and related services to citizens in a timely, reliable, accessible, transparent and efficient manner. pic.twitter.com/k1gmaTPLKq
— Arindam Bagchi (@MEAIndia) June 24, 2023
আজ, পাসপোর্ট সেবা দিবস পাসপোর্ট পরিষেবার মান উন্নত করার সংকল্প নেওয়ার দিন বলেও উল্লেখ করেছেন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর। কোভিড-পরবর্তী সময়ে পাসপোর্ট দেওয়ার হার রেকর্ড বৃদ্ধি পেয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, “২০২২ সালে ১৩,৩২ মিলিয়নন পাসপোর্ট দেওয়া হয়েছিল, যা ২০২১ সালের তুলনায় ৬৩ শতাংশ বেশি।”
ভারতকে ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’ গড়ে তোলার লক্ষ্যে ‘পাসপোর্ট সেবা কর্মসূচি’ একটি বড় ধাপ বলেও জানান এস. জয়শঙ্কর। সমস্ত রাজ্যের পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্রগুলিতে এই পরিষেবা চালু হয়েছে কিনা জানতে তিনি স্বয়ং পরিদর্শনে যাবেন বলেও জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী। তিনি আরও জানান, ২০১৪ সালে দেশে ৭৭টি পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্র (PSK) ছিল। এই সংখ্যা ৭ গুণ বেড়েছে বর্তমানে ৫২৩ হয়েছে।