AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bangladesh: ‘গ্রেটার বাংলাদেশ’ ম্যাপ তৈরির পিছনে তুরস্কের হাত! পোল খুলল ভারত

Bangladesh: বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর কংগ্রেস নেতার এই প্রশ্নের উত্তরে জানান যে 'টার্কিশ ইয়ুথ ফেডারেশন' নামক তুরস্কের একটি এনজিও-র সমর্থন রয়েছে 'সালতানাত-ই-বাংলা' সংগঠনের পিছনে।

Bangladesh: 'গ্রেটার বাংলাদেশ' ম্যাপ তৈরির পিছনে তুরস্কের হাত! পোল খুলল ভারত
সংসদে বিবৃতি বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের।Image Credit: PTI
| Updated on: Aug 01, 2025 | 2:17 PM
Share

নয়া দিল্লি: ভারতের অংশকেও নিজের বলে দাবি বাংলাদেশের? এবার সংসদে জবাব দিল কেন্দ্র। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর লিখিত জবাবে জানালেন, বাংলাদেশের ঢাকার একটি ইসলামিক সংগঠন ‘সালতানাত-ই-বাংলা’ গ্রেটার বাংলাদেশের মানচিত্র প্রকাশ করেছিল। তাতে ভারতের অংশকেও বাংলাদেশের বলে দাবি করা হয়েছিল।

কংগ্রেস নেতা রণদীপ সূরজেওয়ালা রাজ্যসভায় প্রশ্ন করেছিলেন যে বাংলাদেশের ওই ধর্মীয় গ্রুপ গ্রেটার বাংলাদেশের ম্যাপ প্রকাশ করেছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তা দেখানো হয়। তিনি জানতে চেয়েছিলেন যে সরকার এই বিষয়টি বাংলাদেশ সরকারের কাছে কূটনৈতিক স্তরে তুলে ধরা হয়েছে? বাংলাদেশের সঙ্গে তুরস্ক ও পাকিস্তানের অতি-সখ্যতার পর ভারত সরকার নিরাপত্তা আরও বাড়িয়েছে কি না, তাও জানতে চান।

বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর কংগ্রেস নেতার এই প্রশ্নের উত্তরে জানান যে ‘টার্কিশ ইয়ুথ ফেডারেশন’ নামক তুরস্কের একটি এনজিও-র সমর্থন রয়েছে ‘সালতানাত-ই-বাংলা’ সংগঠনের পিছনে। তিনি বলেন, ” তুরস্কের একটি এনজিও সমর্থিত সালতানাত-ই-বাংলা নামক একটি ইসলামিক গ্রুপ ঢাকায় গ্রেটার বাংলাদেশের ম্যাপ প্রকাশ করেছিল, যেখানে ভারতের অংশকেও বাংলাদেশের বলে দাবি করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ম্যাপ প্রদর্শিত হয়েছিল। সরকার এই বিষয়টির নোট নিয়েছে। সরকার পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে। দেশের জাতীয় সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করছে।”

কেন্দ্রের বিবৃতিতে বাংলাদেশের বক্তব্যও প্রকাশ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, “বাংলাদেশ ফ্যাক্ট চেকার প্ল্যাটফর্ম ‘বাংলা ফ্যাক্ট’ দাবি করেছে যে সালতানাত-ই-বাংলা যে বাংলাদেশ থেকে পরিচালিত, তার কোনও প্রমাণ নেই। ম্যাপে দেখানো মানচিত্র পূর্বের বাংলা সুলতানদের রাজত্বের প্রসঙ্গ হিসাবে দেখানো হয়েছিল।”

ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে চলতি বছরের পয়লা বৈশাখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি প্রদর্শনীতে এই মানচিত্র প্রদর্শিত করা হয়েছিল। প্রদর্শনীর উদ্যোক্তারা এর সঙ্গে বিদেশি কোনও সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের  যোগ নেই বলেই দাবি করে।