একটা আস্ত SBI-এর শাখাই নকল! কাণ্ড শুনে মাথায় হাত গ্রামবাসীদের
SBI: দিন দশেক আগে খুলেছে ওই ব্যাঙ্কের শাখা। আসল ব্যাঙ্কে যা যা থাকে, তার সবই ছিল ওই ব্যাঙ্কে। ছিল নথিপত্র, ছিল আসবাব,অবিকল ব্যাঙ্কের কাউন্টারের মতো দেখতে কাউন্টার।
রায়পুর: সাইবার ক্রাইমের কথা আজকাল আকছার শোনা যায়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়ে যায় টাকা। তবে এমন প্রতারণার কথা বোধহয় কেউ কখনও শোনেনি। একটা আস্ত ব্যাঙ্ক, পুরোটাই ফেক! ভুয়ো কর্মী, ভুয়ো ট্রেনিং, ভুয়ো লেনদেন! ছত্তিসগঢ়ের রাজধানী রায়পুর থেকে ২৫০ কিলোমিটার দূরের ঘটনা। সকতি জেলার ওই গ্রামের নাম ছাপোরা। এই ব্যাঙ্কের বেশ কয়েকজন কর্মী জানতেন, তাঁরা সত্যিই চাকরি পেয়েছেন দেশের সবথেকে বড় রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্ক এসবিআই-তে।
দিন দশেক আগে খুলেছে ওই ব্যাঙ্কের শাখা। আসল ব্যাঙ্কে যা যা থাকে, তার সবই ছিল ওই ব্যাঙ্কে। ছিল নথিপত্র, ছিল আসবাব,অবিকল ব্যাঙ্কের কাউন্টারের মতো দেখতে কাউন্টার।
গ্রামবাসীরাও ব্যাঙ্কের শাখা ভেবে যাতায়াত শুরু করেছিল। শুরু হয়েছিল লেনদেনও। নতুন চাকরি পেয়ে উচ্ছ্বসিত ছিলেন কর্মীরাও। দেখে মনে হচ্ছিল, সবকিছু একেবারে স্বাভাবিক। কিন্তু হঠাৎ গণ্ডগোল বাধে নিকটবর্তী একটি ব্যাঙ্কের শাখার ম্যানেজারের সন্দেহে। ওই নতুন শাখায় হাজির হন এসবিআই-এর আধিকারিকরা। একটু খোঁজ নিতেই সামনে আসে সবটা। জানা যায়, ছাপোরার ওই এসবিআই শাখা আসলে নকল।
পুলিশ আধিকারিক রাজেশ পটেল জানান, ডাবরা শাখার ম্যানেজার পুলিশকে বিষয়টি জানায়। এরপর তদন্ত শুরু হয়। পরে জানা যায়, পুরো ব্যাঙ্কটাই ভুয়ো, কর্মীদের নকল কাগজপত্র দিয়ে চাকরিতে নিয়োগ করা হয়েছে। এই প্রতারণা চক্রের সঙ্গে যুক্ত চারজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে এখনও পর্যন্ত।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, কর্মীদের কাছে যে অফার লেটার গিয়েছিল, তা অবিকল আসল অফার লেটারের মতো দেখতে। ম্যানেজার, মার্কেটিং অফিসার, ক্যাশিয়ারের মতো জব টাইটেলও দেওয়া হয়েছিল। দেওয়া হয়েছে ট্রেনিং। শুধু তাই নয়, চাকরিতে যোগ দেওয়ার জন্য কাউকে ২ লক্ষ, কাউকে ৬ লক্ষ দিতে হয়েছে। তাঁদের ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা করে বেতন দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল।
গ্রামবাসীরাও প্রতারিত হয়েছেন অনেকে। কেউ কেউ গয়না বন্দক হিসেবে রেখে লোন নেবেন ভেবেছিলেন। রাতারাতি সেই ব্যাঙ্ক ভুয়ো প্রমাণিত হওয়ায় মাথায় হাত তাঁদের।