লখনউ : এ এক অদ্ভুত কাহিনি। বৃষ্টি কম হওয়ায় খোদ বৃষ্টির দেবতা দেবরাজ ইন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেন এক কৃষক। উত্তর প্রদেশের গোন্ডা জেলার ঘটনা। শনিবার জেলার সম্পূর্ণ সমাধান দিবসে এই অভিযোগ তুলে ধরেন গোন্ডা জেলার ঝালা গ্রামের বাসিন্দা সুমিত কুমার যাদব। বৃষ্টি কম হওয়ার জন্য তিনি ভগবান ইন্দ্রকেই দায়ী করেন। এই অভিযোগে তিনি লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন। এবং দেবরাজের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করারও দাবি জানিয়েছেন।
দেশের বেশ কিছু রাজ্য যেমন বন্যায় ভেসে যাচ্ছে। অসম, মেঘালয়, গুজরাট, মহারাষ্ট্র সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় অতি বৃষ্টির কারণে নাজেহাল অবস্থা সেই রাজ্যের বাসিন্দাদের। কিন্তু সেরকমই বেশ কিছু রাজ্যে সাধারণ সময়ের তুলনায় কম বৃষ্টি হয়েছে বা বৃষ্টির দেখাও মেলেনি। ফলে এই বছর কৃষিকাজে অনেক ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা। এর ফলে উৎপাদনও কম হতে পারে কৃষকদের। তাই অনাবৃষ্টির কারণ খুঁজে দেবরাজ ইন্দ্রের নামে লিখিত অভিযোগ করলেন কৃষক।
তিনি অভিযোগপত্রে বলেছেন, কম বৃষ্টির ফলে এই জেলার সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। সেই অঞ্চলে খড়ার জন্য তিনি তাই দেবরাজ ইন্দ্রকেই দায়ী করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘এই অভিযোগের দিকে অফিসারদের জানানো হচ্ছে যে, গত কয়েক মাস ধরে কোনও বৃষ্টি হয়নি। খড়ার কারণে মানুষজন সমস্যায় রয়েছে। পশু ও কৃষির উপর এই অবস্থার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। পরিবারের মহিলা ও শিশুরা চরম সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। তাই এই মামলায় সঠিক পদক্ষেপ করার আবেদন জানাচ্ছি।’ এদিকে রেভেনিউ অফিসার এন এন ভার্মা এই অভিযোগের ভিত্তিতে ‘বৃষ্টির দেবতার’ বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করবেন বলে জানা গিয়েছে। পরবর্তী পদক্ষেপ করার জন্য তিনি এই চিঠিটি জেলাশাসকের অফিসে পাঠিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। তিনি এই চিঠিটি না পরেই এ কাজ করেছেন।
ইতিমধ্যেই এই চিঠিটি নেট মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভাইরাল হতেই এই চিঠি জেলাশাসকের দফতরে পাঠানোর বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ভার্মা। তিনি এক স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘এরকম কোনও বিষয় আমার কাছে আসেনি। অভিযোগ পত্রে থাকা সিলটি নকল। সম্পূর্ণ সমাধান দিবসে এই অভিযোগ উত্থাপিত হয় এবং এই অভিযোগ অন্য কোনও অফিসে পাঠানো হয় না। এই পুরো জিনিসটিই সাজানো মনে হয়। এ বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।’ তিনি অস্বীকার করলেও সেই চিঠিতে ভার্মার স্বাক্ষর রয়েছে এবং ‘পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য পাঠানো’ কথাটিও লেখা রয়েছে।