নয়া দিল্লি: আজই কি ইতি পড়বে ১৩ মাস ধরে চলা কৃষক আন্দোলনে (Farmers Protest)? বুধবার সকালেই আন্দোলনকারী কৃষকদের (Protesting Farmers) পাঁচ সদস্যের প্যানেল বৈঠকে বসতে পারে, এমনটাই সূত্রের খবর। এদিনের বৈঠকেই আন্দোলনের ভবিষ্যত নিয়েও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
মঙ্গলবারই জানা গিয়েছিল, কৃষকদের অধিকাংশ দাবিই সরকার মেনে নেওয়ায় ধীরে ধীরে আন্দোলনের পথ থেকে সরে আসতে রাজি হচ্ছেন কৃষক নেতারা। কৃষক সংগঠনগুলির কাছে পাঠানো চিঠিতে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হবে। এর পাশাপাশি খড়কুটো পোড়ানো সহ সমস্ত পুলিশি মামলাগুলিও প্রত্যাহার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কেন্দ্র। সূত্র মারফত এমনটাই জানা গিয়েছে।
কেন্দ্রের তরফে ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের গ্যারান্টি (Minimum Support Price) থেকে শুরু করে একাধিক দাবি পূরণের লিখিত প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরই সংযুক্ত কিসান মোর্চা (Samyukta Kisan Morcha) জানায় যে, বুধবার তারা ফের কেন্দ্রের সঙ্গে দেখা করবে। সরকারের তরফে যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে বেশ কিছু জায়গায় সংশয় রয়েছে, সেগুলি দূর করতেই পুনরায় সাক্ষাতের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
আন্দোলনকারী কৃষক সংগঠনের তরফে কেন্দ্রের সঙ্গে দুপুর দুটোয় সাক্ষাতের কথা বলা হয়েছে। তার আগেই সকাল সাড়ে ১০টায় কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধিরা দেখা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কৃষক সংগঠনের ৫ সদস্য নিজেদের মধ্যে জরুরি বৈঠকে আন্দোলনের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করবে বলেও জানা গিয়েছে।
আইন প্রত্যাহারের ঘোষণার সময়ই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও পরবর্তী সময়ে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দের সিং তোমার জানিয়েছিলেন, কৃষকদের ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিয়ে যে একাধিক প্রশ্ন, সংশয় রয়েছে, তা দূর করতে একটি কমিটি গঠন করা হবে। এই কমিটিতে কেন্দ্রের প্রতিনিধি ছাড়াও কৃষি বিজ্ঞানী, গবেষক ও কৃষকদের প্রতিনিধিরা থাকবে।
গতকাল কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত বলেন, “সরকারের লিখিত প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, কেন্দ্র আমাদের দাবি মেনে নেবে এবং আমরা যেন আন্দোলন শেষ করি। কিন্তু কেন্দ্রের প্রস্তাবনা এখনও স্পষ্ট নয়। আমাদের বেশ কিছু প্রশ্ন রয়েছে, যা নিয়ে আমরা আলোচনা করতে চাই। আপাতত আন্দোলন বন্ধ হচ্ছে না।”