Priyanka Gandhi’s Dig at Akhilesh Yadav: ‘অখিলেশ হয়তো জ্যোতিষী’, শূন্য আসনের ভবিষ্যতবাণীর পাল্টা জবাব প্রিয়ঙ্কার
Priyanka Gandhi on Congress's seat in UP Polls: সম্প্রতিই প্রিয়ঙ্কা গান্ধী অভিযোগ করেছিলেন, অখিলেশ যাদব জাত-পাতের ভেদাভেদ করে এক অপরাধীদের সরকার পরিচালন করছিলেন। এদিন ফের অখিলেশ যাদব ও মায়াবতীর বিরুদ্ধে "জাতপাত ও ধর্মের রাজনীতি" করার অভিযোগ আনেন প্রিয়ঙ্কা।
নয়া দিল্লি: কেবল শাসক বনাম বিরোধী নয়, বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ততই বিরোধী দলগুলির মধ্যেও বাড়ছে প্রতিযোগিতা। উত্তেজনাপূর্ণ উত্তর প্রদেশ নির্বাচনের (Uttar Pradesh Assembly Election 2022) আগেই কংগ্রেস(Congress)-র আসন সংখ্যা নিয়ে ভবিষ্যতবাণী করেছেন সমাজবাদী পার্টি(Samajwadi Party)-র নেতা অখিলেশ যাদব (Akhilesh Yadav)। আর তাতেই বেজায় চটেছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী (Priyanka Gandhi)। অখিলেশকে “জ্যোতিষী” বলেও কটাক্ষ করেন তিনি।
গত সপ্তাহেই সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব প্রাক্তন জোটসঙ্গীর সম্পর্কে বলেন, “এবারের প্রতিযোগীতায় নেই কংগ্রেস, তারা কেবল বিজ্ঞাপনের জন্য রয়েছে। তারা হয়তো এবার একটিও আসন পাবে না।” অখিলেশের এই আক্রমণের জবাবেই মঙ্গলবার প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বলেন, “অখিলেশ যদব জ্যোতিষী হতে পারেন, যে কারণে ওনার মনে হয়েছে কংগ্রেস একটিও আসন পাবে না। সময় আসলেই দেখা যাবে কী হতে চলেছে।”
সম্প্রতিই প্রিয়ঙ্কা গান্ধী অভিযোগ করেছিলেন, অখিলেশ যাদব জাত-পাতের ভেদাভেদ করে এক অপরাধীদের সরকার পরিচালন করছিলেন। এদিন ফের অখিলেশ যাদব ও মায়াবতীর বিরুদ্ধে “জাতপাত ও ধর্মের রাজনীতি” করার অভিযোগ আনেন প্রিয়ঙ্কা। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতা করতে গিয়ে বিজনৌরের ১৯ বছরের যুবকের মৃত্যুর প্রসঙ্গ টেনে প্রিয়ঙ্কা বলেন, “আমি জানতে চাই অখিলেশজী কি ওদের বাড়িতে গিয়েছিলেন? সোনভদ্রে ১৩ জন আদীবাসী মারা গিয়েছেন, অখিলেশজী গিয়েছেন সেখানে? উন্নাও ও হাথরসে যে নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটল, তারপরও কি অখিলেশজী গিয়েছিলেন? কিংবা লখিমপুর খেরিতে যেখানে এতজনের মৃত্যু হল, অখিলেশজী কি সেখানেও গিয়েছিলেন? শুধুমাত্র নির্বাচনের সময়ই কেন উনি ঘুরে বেড়ান এবং ওনার দল জীবন্ত হয়ে ওঠে?”
২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে রাহুল গান্ধী ও অখিলেশ যাদব হাতে হাত মিলিয়ে “ইউপি কে লড়কে” বলে প্রচার করলেও বিজেপির কাছে বিপুল ভোটে হারের পরই সেই জোট ভেঙে যায়। এবারের নির্বাচনে অখিলেশ ছোট দলগুলির সঙ্গে জোট বাঁধলেও কংগ্রেস একাই লড়তে চলেছে।
এদিকে, অখিলেশের দলকে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সমর্থন জানিয়েছেন। সম্প্রতিই তিনি দিল্লি সফরে গিয়ে জানিয়েছিলেন, অখিলেশ যাদব চাইলেই তিনি উত্তর প্রদেশে গিয়ে সমাজবাদী দলের হয়ে প্রচার সারবেন। অখিলেশ যাদবও মমতাকে যোগীরাজ্যে স্বাগত জানিয়ে বলেছিলেন, “যেভাবে উনি পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিজেপিকে ধুয়ে মুছে সাফ করেছেন, উত্তর প্রদেশের মানুষও বিজেপিকে একইভাবে রাজ্য থেকে দূর করবে।”
একদিকে যখন কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব বাড়ছে, সেই সময়ই সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ায় কিছুটা চাপে পড়েছে কংগ্রেস। জাতীয় রাজনীতিতে বিরোধী দল হিসাবে যেভাবে তৃণমূল কংগ্রেস উঠে আসছে, তা ভাল চোখে দেখছে না কংগ্রেস।