কলকাতা: এতদিন বিশ্বের সবথেকে জনবহুল স্থান হিসাবে পরিচিতি ছিল চিনের (China)। কিন্তু, সদ্য রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রকাশিত তথ্য় বলছে, জনসংখ্যার (Population) নিরিখি এবার চিনকে ছাপিয়ে শীর্ষস্থানে উঠে এসেছে ভারত। রাষ্ট্রপুঞ্জ কর্তৃক প্রকাশিত ২০২৩ সালের বিশ্ব জনসংখ্যা রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ভারতের জনসংখ্যা বর্তমানে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪২.৮ কোটি। যা চিনের থেকে প্রায় ২৮ লক্ষ (২.৮ মিলিয়ন) বেশি। তবে ভারতের এই জনসংখ্যা বৃদ্ধির পিছনে বড় হাত রয়েছে উত্তর প্রদেশ (Uttar Pradesh) ও বিহারের মতো রাজ্যগুলির ব্যাপক জনসংখ্যা বৃদ্ধি। পরিসংখ্যান বলছে, বিশ্বের দেশগুলির জনসংখ্যার নিরিখে তালিকায় যদি উত্তর প্রদেশকে রাখা হত, তাহলে ভারতের এই রাজ্য পঞ্চম স্থানে থাকত। বর্তমানে উত্তর প্রদেশের মোট জনসংখ্যা ২৩ কোটির বেশি।
ভারত, চিনের পর বর্তমানে সর্বোচ্চ জনসংখ্যার তালিকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যা প্রায় ৩৩ কোটির বেশি। সেখানে চতুর্থ স্থানে থাকা ইন্দোনেশিয়ার জনসংখ্যা ২৮ কোটির কাছাকাছি। এই তালিকায় রাখলে ২৩ কোটির জনসংখ্যা নিয়ে পঞ্চম স্থানে থাকত উত্তর প্রদেশ। ইতিহাস বলছে, ১৯৩৭ সালের ১ এপ্রিল ‘যুক্তপ্রদেশ’ নামে এই রাজ্য গঠিত হয়েছিল। ১৯৫০ সালে এর নাম বদলে ‘উত্তর প্রদেশ’ রাখা হয়। লখনউ এই রাজ্যের রাজধানী ও বৃহত্তম শহর হিসাবে পরিচিত। গাজিয়াবাদ, কানপুর, মোরাদাবাদ, বরেইলি, আলিগড় ও বারাণসী এই রাজ্যের প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র। ২০০০ সালের ৯ নভেম্বর উত্তর প্রদেশের হিমালয়-সংলগ্ন অঞ্চলটিকে বিচ্ছিন্ন করে ‘উত্তরাঞ্চল’ (অধুনা উত্তরাখণ্ড) রাজ্য গঠিত হয়।
প্রসঙ্গত, পরিসংখ্যান বলছে গোটা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশই ভারত ও চিনের জনসংখ্যা। তবে এই দুই দেশেই জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার বর্তমানে কমতে শুরু করেছে। সরকারি নথি অনুযায়ী, ২০১১ সাল থেকে ভারতের বার্ষিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.২ শতাংশ। যেখানে তার আগের ১০ বছর এই হার ছিল ১.৭ শতাংশ। তবে রাষ্ট্রপুঞ্জের হিসাব বলছে, ১৯৫০ সাল থেকে শুরু করে ২০২৩ সাল অবধি, এই প্রথম জনসংখ্যার নিরিখে চিনকে ছাপিয়ে গিয়েছে ভারত।