নয়াদিল্লি: সমলিঙ্গ বিবাহে বৈধতার দাবি জানিয়ে পিটিশন জমা পড়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। সেই আবেদন শোনার জন্য পাঁচ বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ গঠন করেছে শীর্ষ আদালত। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে গত কয়েক দিন ধরেই চলছে সমলিঙ্গ বিবাহের বৈধতা সংক্রান্ত শুনানি। কেন্দ্র সমলিঙ্গ বিবাহের বিরোধিতা করছে। দেশের শীর্ষ আদালতে সওয়াল জবাব চলাকালীন একাধিক বিষয় উঠে এসেছে গত কয়েক দিনে। যা নিয়ে চর্চাও চলছে দেশ জুড়ে। এই শুনানির সময়ই সমলিঙ্গ দম্পতির শিশু দত্তক নেওয়ার বিষয়টি উঠে এসেছিল। সাধারণ দম্পতিরা যে ভাবে দত্তক নেওয়া সন্তানকে বড় করে তোলন, সমকামী দম্পত্তির ক্ষেত্রে তা কতটা সম্ভব সে বিষয়টি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন কেন্দ্রের হয়ে আদালতে সওয়াল করা সলিসিটর জেনারেল। তখনই প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, বিপরীত লিঙ্গের দম্পতির সন্তানদের সামনে যখন গার্হস্থ্য হিংসার ঘটনা ঘটে তখন কী হয়?
শিশুদের সামনে গার্হস্থ্য হিংসার প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেছেন, “যখন কোনও বিপরীত লিঙ্গের দম্পতির সন্তানের সামনে গার্হস্থ্য হিংসার ঘটনা ঘটে তখন কী হয়? যখন মত্ত বাবা বাড়ি এসে প্রতি রাতে তার মাকে পেটায়, সেই শিশু কী স্বাভাবিক পরিবেশে বড় হওয়ার সুযোগ পায়? এই জন্যই আমি বলছি, কোনও কিছু স্বতঃসিদ্ধ হতে পারে না।” তবে এই মন্তব্যের জন্য তাঁকে ট্রোলিংয়ের শিকার হতে পারে বলেও আশঙ্কা করেছেন তিনি। কিন্তু তা সত্ত্বেও ঝুঁকি নিয়েই এই মত জানিয়েছেন।
সমকামী দম্পতিরদের সন্তান দত্তক দেওয়ার বিষয় নিয়ে একটি পিটিশন দায়ের হয়েছিল। ট্রান্সজেন্ডার অধিকারেক দাবিতে লড়াই করা সমাজকর্মী জাইনাব প্যাটেলের আইনজীবী কেভি বিশ্বনাথনের পিটিশনের প্রেক্ষিতে শুনানি চলছিল। তখনই এ কথা বলেছেন প্রধান বিচারপতি। বিচারপতিদের বক্তব্য নিয়ে সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় যে সব ট্রোলিং চলেছে, সেই বিষয়টি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি।