নয়া দিল্লি: দিল্লির বিখ্য়াত জামা মসজিদ হবে ‘সংরক্ষিত স্মৃতিস্তম্ভ’? স্বীকৃতি পাবে ‘বিশ্ব ঐতিহ্য’-এর? এই বিষয়ে এক আবেদনের শুনানিতে, ভারতীয় প্রত্নতাত্ত্বিক সমীক্ষা বা এএসআই-কে (ASI) জামা মসজিদের অবস্থা, এর বর্তমান মালিক, এএসআই-এর রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম এবং এই মসজিদ থেকে কত রাজস্ব লাভ হয় এবং তা কীভাবে ব্যবহার করা হয়, সেই সম্পর্কে একটি হলফনামা দাখিল করার নির্দেশ দিল দিল্লি হাইকোর্ট। বিচারপতি প্রতিভা এম সিং এবং বিচারপতি অমিত শর্মার এক ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ জারি করেছে।
আবেদনে, ভারত সরকার, এএসআই এবং দিল্লির সরকার, জামা মসজিদ রক্ষা এবং উন্নয়নে ব্যর্থ হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। দিল্লি ওয়াকফ বোর্ডও, জামা মসজিদ সম্পর্কে তাদের বিধিবদ্ধ দায়িত্ব পালন করছে না বলে অভিযোগ করা হয়েছে। আবেদনে জামা মসজিদের শাহি ইমাম হিসেবে, মৌলানা সৈয়দ আহমেদ বুখারিকে নিয়োগের বিষয়টিও তোলা হয়েছে। আবেদনকারীদের দাবি, আইনত যোগ্য না হয়েও তিনি শাহি ইমাম উপাধি ব্যবহার করছেন। বুখারির ছেলেকে নায়েব ইমাম হিসেবে নিয়োগের বৈধতাকেও চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে এই আবেদনে। আবেদনকারীদের মতে, নিজের ছেলেকে নিয়োগ করার কোনও ক্ষমতা নেই বুখারির।
এই মামলার আগের শুনানিতে, ২০১৭ সালের ২৩ অগস্ট, জামা মসজিদকে সুরক্ষিত স্মৃতিস্তম্ভ হিসাবে ঘোষণা না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া ফাইলটি আদালতে পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল এএসআই এবং কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রককে। কিন্তু, ৭ বছরেও আদালতে সেই ফাইল জমা দিতে পারেনি সরকার। চলতি বছরের ২৮ অগস্ট ফে একবার এই ফাইল এবং জামা মসজিদ সম্পর্কিত মূল ফাইলগুলি আদালতে উপস্থাপন করার নির্দেশ দেওয়া হয় এএসআইকে। তবে, জামা মসজিদকে সুরক্ষিত স্মৃতিস্তম্ভের মর্যাদা না দেওয়ার ফাইল আজ পর্যন্ত আদালতে পেশ করা হয়নি। ২৭ সেপ্টেম্বর, এএসআই-এর এক আধিকারিক আদালতে কিছু নোট শীট এবং একটি ফাইল উপস্থাপন করেছিলেন। সেই সময় এএসআই জানিয়েছিল, সেই ফাইলে জামা মসজিদকে সুরক্ষিত স্মৃতিস্তম্ভের স্বীকৃতি দেওয়া বিষয়ে কোনও গুরুত্বপূর্ণ বিবরণ নেই। পরবর্তী শুনানির তারিখে আসল ফাইলটি আনার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।