নয়া দিল্লি : ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া। আর তারই প্রভাব পড়তে পারে ভারতের অর্থনীতিতে। শনিবার এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। শনিবার মুম্বইতে ‘এশিয়া ইকনমিক ডায়লগ ২০২২’- এ যোগ দিয়ে এমন দাবি করেছেন তিনি। কার্যত তিনি মেনে নিয়েছেন, ভারতের উন্নয়ন বাধাপ্রাপ্ত হতে পারে ওই পরিস্থিতি কারণে। তাঁর দাবি, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে পৃথিবীর সামনে এত বড় মাপের সমস্যা আর কখনও তৈরি হয়নি বিপত্তি আসেনি। খুব শীঘ্রই শান্তি ফিরবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন নির্মলা।
ইউক্রেনে রাশিয়া সামরিক অভিযান চালানোর পর এ দিনই প্রথম মুখ খোলেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, ভারতের উন্নয়নে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত। ভারত-সহ গোটা বিশ্বের অর্থনীতিকে অতিমারির হাত থেকে বের করে আনার জন্য শান্তি প্রয়োজন। এখন সেই শান্তিভঙ্গ হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তিনি। যার ফলে ভারতের অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর প্রক্রিয়া বাধাপ্রাপ্ত হবে।
গত বৃহস্পতিবার ইউক্রেনে রুশ অভ্যুত্থানের পরই সেই শেয়ার বাজারে বড়সড় ধাক্কা লাগে। সে দিন বাজার খুলতেই সেনসেক্স ২০০০ পয়েন্ট এবং নিফটি প্রায় সাড়ে ৪০০ পয়েন্ট পড়ে। দিনের শেষে সেনসেক্স ২৭০০ পয়েন্ট ও নিফটি ৮১৫ পয়েন্ট পড়ে বাজার বন্ধ হয়। ২০২০ সালে মার্চ মাসের পর এত বড় পতন দেখা আর দেখা যায়নি।
বৃহস্পতিবার বাজারের দুই সূচক সেনসেক্স ৪.৭২ শতাংশ পড়ে ৫৪,৫৩০ অঙ্ক এবং নিফটি ৪.৭৮ শতাংশ পড়ে ১৬২৪৮ অঙ্কে পৌঁছয়। একদিনে ১৩.৪৭ লক্ষ কোটি টাকা খুইয়ে ফেলেন লগ্নিকারীরা। বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের মোট শেয়ার মূলধন ২৫৫ লক্ষ কোটি থেকে এক ধাক্কায় নেমে দাঁড়ায় ২৪২ লক্ষ কোটি টাকা। এদিন এমন কোনও সেক্টর ছিল না, যার রং লাল। ব্য়াঙ্ক ৮.২৬ শতাংশ, অটো ৬.২৬ শতাংশ পতন লক্ষ্য করা যায়। সবচেয়ে বেশি যে শেয়ারটি পতন হয়েছে তা হল টাটা মোটর। ১০.৭১ শতাংশ পড়ে দাঁড়ায় ৪২৫টাকায়। এছাড়াও উল্লেখযোগ্যভাবে দাম পড়ে যায় ইন্ডাসিন্ড ব্যাঙ্ক, গ্রাসিম ইন্ডাস্ট্রিজ, জেএসডব্লিউ শেয়ারে। সেখান থেকেই আঁচ করা সম্ভব আগামিদিনে দেশের অর্থনীতির পরিস্থিতি কতটা কঠিন হতে চলেছে।
আরও পড়ুন : Russia-Ukraine Conflict : আমেরিকার প্রস্তাবে ‘না’ ভারতের, সমালোচনায় সরব বিরোধীরা