জয়পুর: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস সংক্রান্ত মামলায় গুরত্বপূর্ণ রায় দিল রাজস্থান হাই কোর্ট। রাধাকৃষ্ণাণ মিনা নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বারবার ধর্ষণের অভিযোগে শুক্রবার একটি এফআইআর দায়ের হয়েছিল। রাধাকৃষ্ণাণের বিরুদ্ধে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা ভঙ্গ করার অভিযোগও আনা হয়েছিল। বিচারপতি ফারজান্দ আলির সিঙ্গেল বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলেছিল। জানা গিয়েছে রাজস্থানের আলওয়ারের এক মহিলা পুলিশ থানায় এই এফআইআরটি দায়ের হয়েছিল। বিচারপতি বলেন, “এই ঘটনাটি অপ্রত্যাশিত হলেও অস্বাভাবিক কোনও কিছু নেই যেখানে একটি ছেলে এবং একটি মেয়ে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল, তাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্মতিতেই শারীরিক সম্পর্ক তৈরি হয় এবং পরবর্তীকালে তাদের বিচ্ছেদের মাধ্যমে সম্পর্কের ইতি ঘটে। এই মামলাতে মামলাকারী সম্মতিপূর্ণ ভাবে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন এবং পরস্পরকে ভালবেসেছিলেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাদের সম্পর্ক তিক্ত হওয়ার ফলে তাদের বিচ্ছেদ হয়।”
আদালত জানিয়েছে, রেকর্ড থেকে জানা গিয়েছে অভিযোগের সপক্ষে কোনও জোরাল প্রমাণ নেই যে শুরু থেকেই উদ্দেশ্য নিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তি ওই মহিলাকে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে বাধ্য করেছিলেন। এমনকি কবে বিয়ে করবেন সেই সম্পর্কে করা কোনও অভিযোগের কথাও অভিযোগকারী এফআইআরে উল্লেখ করেননি। অভিযোগে কোথাও এমন বলা নেই যে উদ্দেশ্য নিয়ে তাঁকে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়তে বাধ্য করা হয়েছে।
২০১৮ সালে দেওয়া প্রতিশ্রুতি ২০২০ সালে অভিযুক্ত ব্যক্তি পূরণ করতে পারেননি, তাঁর অর্থ এই নয় যে ওই ব্যক্তি মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। দায়ের করা এফআইআরে রাধাকৃষ্ণণের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ থেকেই স্পষ্ট অভিযোগকারীনি স্বেচ্ছায় দীর্ঘদিন ধরে তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে ছিলেন। এবং দীর্ঘ দুবছর ধরে নিয়মিত তাঁদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক ছিল। অভিযোগকারী জানিয়েছেন, অভিযুক্ত ও তিন একই জায়গার বাসিন্দা নন বরং তিনি গুজরাটে কর্মরত। তাই কোনও দিক থেকেই এই বিষয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়না যে বিয়ের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁর সঙ্গে উদ্দেশ্য নিয়ে এই কাজ করা হয়েছে। তাই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি ৩৭৫ ধারায় ধর্ষণের যে মামলা করা হয়েছিল তা কোনও রকমভাবে গ্রহণযোগ্য নয়।
আরও পড়ুন Russia-Ukraine Conflict: শেষমেশ ভারতের শরণাপন্ন ইউক্রেন! মোদীর সঙ্গে কথা জ়েলেনস্কির