অন্ধ্র প্রদেশ: মাছ ধরেই দিনযাপন করতে হয়। গোটা পরিবারের দায়িত্ব তাঁর কাঁধে। তাই সকাল হলেই মাছ ধরার সরঞ্জাম নিয়ে বেরিয়ে পড়েন রোজ সকালে। রোদ-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে এভাবেই দিনযাপন করেন তিনি। ভাগ্য সদয় হলে বেশি মাছ পড়ে জালে। বেশি টাকা উপার্জনের সম্ভাবনা থাকে। আবার কখনও কখনও ফিরতে হয় খালি হাতেই। তবে সে দিন যে ভাগ্য এতটা সদয় হবে, তা ভাবতেও পারেননি মৎস্যজীবী। মাছ ধরতে গিয়ে যে নিয়ে ফিরলেন, তাতে হতবাক তাঁর পরিবার।
অন্ধ্রপ্রদেশের প্রকাশম জেলার চেঞ্চু কলোনির বাসিন্দা কুদুমালা পোটান্না। কয়েকদিন আগে পালঙ্কার কৃষ্ণা নদীর ধারে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন তিনি। মাছ তখনও ওঠেনি, হঠাৎ দেখতে পান কিছু একটা চকচক করছে নদীর ধারে। কাছে যেতে কার্যত চোখ ধাঁধিয়ে যায় তাঁর। সোনার পাঁচখানা কয়েন পড়ে রয়েছে। সেগুলো তুলে নিয়ে অন্যান্য মৎস্যজীবীদের জানান বিষয়টি।
খবর পেয়েই অন্যরা ছুটে যান নদীর ওই পারে। যদি তাঁদেরও ভাগ্য খোলে। তবে আর কেউ তেমন কিছু দেখতে পাননি। এদিকে কয়েনগুলো নিয়ে গ্রামে ফিরে যান ওই মৎস্যজীবী। দেখা গিয়েছে ওই কয়েনের ওপর কারও মুখ খোদাই করা আছে আর কিছু একটা লেখাও আছে। অনেকেই অনুমান করছেন, কোনও রাজার শাসনকালের কয়েনগুলি।
সবে সেগুলি নিয়ে আপাতত চিন্তায় রয়েছেন কুদুমালা পোটান্না। ওই পাঁচখানা কয়েন তাঁর পরিবারের অভাব মিটিয়ে দিতে পারে, চিন্তা দূর করতে পারে। কিন্তু মৎস্যজীবী এটাই ভাবছেন যে, প্রশাসন এগুলো ছিনিয়ে না নেয়। তাহলেই বিপদ!