গঢ়চিরোলী: দু’দিনের গুলির লড়াইয়ের পর অবশেষে পুলিশের হাতে খতম ৫ মাওবাদী (Maoist)। শনিবার থেকে মহারাষ্ট্র পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াই শুরু হয়েছিল মাওবাদীদের। যা সোমবার সকাল পর্যন্ত চলে। এরপরই গঢ়চিরোলী জেলায় পুলিশের হাতে মৃত্যু হয় ৫ মাওবাদীদের। যে ৫ মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে তার মধ্যে দু’জন মহিলাও রয়েছেন। গঢ়চিরোলী জেলার খোবরামেন্ধা জঙ্গলের মধ্যে এনকাউন্টারের পর পুলিশ উদ্ধার করেছে তিনটি প্রেশার কুকার বোমাও।
পুলিশ জানিয়েছে, তাদের কাছে তথ্য ছিল ২৫ সদস্যের একটি মাওবাদী দলের সম্পর্কে। এরপর ওই অঞ্চলে হানা দেয় পুলিশ। সোমবার সকালে পুলিশের সঙ্গে চূড়ান্ত গুলির লড়াই শুরু হয় ২৫ সদস্যের মাওবাদী দলের। সেখানে ৩ পুরুষ ও ২ মহিলা মাওবাদী সদস্যের মৃত্যু হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ৫ জনের মৃত্যুর পর পালিয়ে যায় বাকিরা।
পুলিশের ডিআইজি সন্দীপ পাটেল জানিয়েছেন, গোয়োন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ ২৫ মাওবাদীর সঙ্গে গুলির লড়াই শুরু হয় সি৬০ কম্যান্ডোদের মধ্যে। সংঘর্ষস্থল থেকে পুলিশ ৩০৩ রাইফেল ম্যাগাজিন, কার্তুজ, প্রেশার কুকার বোমা, কারেন্টের তার, সোলার প্ল্যাট, ওষুধ-সহ অনেক কিছু উদ্ধার করেছে। অপারেশনের শুরুতে গুলি চালায় মাওবাদীরা। পাল্টা দেয় পুলিশও। তারপর অস্ত্র ফেলে এলাকা থেকে পালিয়ে যায় মাওবাদীরা।
কয়েকদিন আগে ঝাড়খণ্ডে মাওবাদী তল্লাশিতে বেরিয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন এক সিআরপিএফ জওয়ান ও পুলিশ আধিকারিক। সে দিন যৌথ বাহিনীর সঙ্গেই যাচ্ছিল স্যানিটাইজ দল। প্রোটোকল অনুযায়ী, তাঁদের প্রধান কাজ বাহিনীর রাস্তা পরিষ্কার করা। সেই কাজ চলাকালীনই সকাল ৮টা ৪৫ মিনিট নাগাদ একটি আইইডি বিস্ফোরণ হয়। এরপরই জঙ্গল থেকে গুলিও চলতে শুরু করে। বিস্ফোরণে প্রাণ হারান জাগুয়ার বাহিনীর দুই কর্মী।
আরও পড়ুন: Corona Cases and Lockdown News live: একদিনেই আক্রান্ত ৬৮ হাজার! শয্যাসঙ্কট দিল্লিতে