নয়া দিল্লি: সম্প্রতি প্রবল বৃষ্টিতে কার্যত ভেসে গিয়েছে বেঙ্গালুরু। বহুমূল্য ফ্ল্যাটের অন্দরেও দেখা গিয়েছে প্রায় হাঁটু জল। রাস্তায় চলাচল করতে নৌকাও ব্যবহার করেছেন মানুষজন। অবস্থার উন্নতি হতে না হতেই আবারও বৃষ্টির পূর্বাভাস দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে। ইতিমধ্যেই নিম্নচাপের জেরে পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টি হবে বলে জানানো হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে। অন্যদিতে উত্তরাখণ্ড, অন্ধ্রপ্রদেশের মতো বেশ কয়েটি রাজ্যে জারি হল হলুদ সতর্কতা।
বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে ইতিমধ্যেই। মৌসম ভবনের দেওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী, সেই নিম্নচাপের জেরে বৃষ্টি হবে পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ্র প্রদেশ ও ওডিশা উপকূলে। রবিবার সকালের মধ্যে নিম্নচাপ ঘনীভূত হবে বলে জানা গিয়েছে। তাই ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই তিন জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। রবিবার সকাল থেকেই সুন্দরবন উপকূলে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে নামতে নিষেধ করা হয়েছে আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত। সুন্দরবনের কাকদ্বীপ, নামখানা, পাথরপ্রতিমা ও সাগরের উপকূল এলাকায় সতর্ক করতে মাইকিং করা হয়েছে।
আগামী ৪-৫ দিন ধরে উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড় ও দেরাদুন জেলায় প্রবল বৃষ্টি হবে বলে জানানো হয়েছে মৌসম ভবনের তরফে। সম্প্রতি নেপালের ছাপলিতে মেঘ ভাঙা বৃষ্টি হয়েছে, আর তার প্রভাব পড়েছে উত্তরাখণ্ডে। সে রাজ্যের পিথোরাগড়ের ধারচুলায় বেড়ে গিয়েছে নদীর জলস্তর। প্রবল বৃষ্টিতে ধারচুলায় মাল্লা বাজার ও এলধারায় অনেকবাড়ি ভেঙে গিয়েছে। উত্তর কাশীতে গঙ্গোত্রী ও যমুনোত্রীতে ভারী বৃষ্টি হবে বলে জানা গিয়েছে। বন্ধ হয়ে গিয়েছে যমুনোত্রী ন্যাশনাল হাইওয়ে। পাঁচ জেলায় জারি হয়েছে হলুদ সতর্কতা। তবে আপাতত কেদারনাথের আশেপাশে আবহওয়া পরিষ্কার থাকবে।
রবিবার অন্ধ্র প্রদেশ, ওডিশা, তেলঙ্গানার জন্য বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। মৌসম ভবনের তরফ থেকে দেওয়া বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, আগামী তিন দিন গুজরাট, মহারাষ্ট্রে প্রবল বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে।
রবিবার বজ্র-বিদ্যুৎ সহ প্রবল বৃষ্টি হতে পারে তামিলনাড়ু, পুদুচেরি, কড়াইকালের মতো এলাকাগুলিতে। রেহাই পাবে না কর্ণাটকও। বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত কর্ণাটক ও কেরলে সোমবার এবং গুজরাটে মঙ্গলবার প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে।