Fraud: প্রাসাদের মতো বাড়ি, বাইরে দাড়িয়ে থাকত কূটনীতিকের নম্বরপ্লেটের বিদেশি গাড়ি, ভিতরে যা যা চলছিল, তাতে ভিরমি খেল STF-ও!
Fake Embassy: এক মার্কিন নেভি অফিসার ওয়েস্টআর্কটিকা নামে একটি ক্ষুদ্র দেশ তৈরি করেছিলেন, যদিও তা কোনও স্বীকৃতি পায়নি। সেই দেশের দূতাবাস খুলেই ভুয়ো চাকরির র্যাকেট চালাচ্ছিলেন।

নয়া দিল্লি: বাড়ির বাইরে ডিপ্লোমেটিক নম্বর প্লেটের গাড়ি দাঁড়ানো। সবাই জানত এটা বিদেশি দূতাবাস। তবে ভিতরে ভিতরে যে কী হচ্ছে, তা জানতেন না কেউই। মাথাও ঘামাননি বিশেষ। তবে তদন্তে নেমে যে তথ্য সামনে এল, তাতে চক্ষু চড়কগাছ পুলিশেরও। এসটিএফ খুঁজে বের করল নকল দূতাবাস!
হ্যাঁ, ঠিকই দেখছেন। নকল নোট বা পাসপোর্ট নয়, আস্ত দূতাবাসটাই নকল। আজ, বুধবার উত্তর প্রদেশ পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স গাজিয়াবাদে এই নকল দূতাবাসের হদিশ পান। গ্রেফতাপ করা হয়েছে হর্ষবর্ধন জৈন নামে এক ব্যক্তিকে। তিনি ‘ওয়েস্টআর্কটিকা’ নামক একটি দেশের ভুয়ো দূতাবাস তৈরি করেছিলেন। অফিসের ভিতর থেকে ৪৪ লক্ষ টাকার বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার করা হয়েছে। বিভিন্ন দেশের নম্বর প্লেট লাগানো গাড়িও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
এক মার্কিন নেভি অফিসার ওয়েস্টআর্কটিকা নামে একটি ক্ষুদ্র দেশ তৈরি করেছিলেন, যদিও তা কোনও স্বীকৃতি পায়নি। সেই দেশের দূতাবাস খুলেই ভুয়ো চাকরির র্যাকেট চালাচ্ছিলেন। বিদেশে চাকরি দেওয়ার টোপ দিয়ে টাকা নিতেন। আর্থিক তছরুপেরও অংশ ছিলেন।
জানা গিয়েছে, হর্ষবর্ধন জৈন নিজেকে ওয়েস্টআর্কটিকার ব্যারন বা ধনকুবের বলে পরিচয় দিতেন। সবসময় দামি দামি বিদেশি গাড়িতে চড়ে ঘুরে বেড়াতেন। তাতে ডিপ্লোম্যাটিক নম্বর প্লেট লাগানো থাকত। এমনকী, নিজের নাম-পরিচিতির জন্য প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী সহ একাধিক নামী ব্যক্তির সঙ্গে মর্ফড ছবি ব্যবহার করতেন। ২০১১ সালে তাঁর বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছিল বেআইনিভাবে স্যাটেলাইট ফোন রাখার জন্য।
ধৃতের কাছ থেকে ৪টি দামি গাড়ি উদ্ধার করা হয়েছে ডিপ্লোম্যাটিক নম্বর প্লেট সহ। এছাড়া ১২টি ক্ষুদ্র দেশের ডিপ্লোম্যাটিক পাসপোর্ট, বিদেশ মন্ত্রকের স্ট্যাম্প দেওয়া ডকুমেন্ট, ৩৪টি দেশের স্ট্যাম্প, বিপুল বিদেশি মুদ্রা এবং ১৮টি ডিপ্লোম্যাটিক নম্বর প্লেট উদ্ধার করা হয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, গতকালই ইন্সটাগ্রাম হ্যান্ডেলে এই ভারতীয় দূতাবাসের ছবিও শেয়ার করা হয়।

