নয়া দিল্লি: গত মাসে তালিবান আফগানিস্তানে (Afghanistan) দখল নেওয়ার পর দেশ ছাড়তে চেয়েছিলেন বহু আফগান (Afghan)। অনেকেই দেশ ছাড়তে সক্ষম হন। আবার অনেককেই ফিরে যেতে হয় বিমাবন্দর থেকে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তাঁরা দেশ ছাড়তে পারেননি। মার্কিন সেনা কাবুল ছাড়ার পর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বিমান পরিষেবা। আপাতত আফগানদের দেশ ছাড়ার কোনও রাস্তা নেই। এবার সেই আফগানদের জন্যই সওয়াল করল ভারত (India)। যাদের কাছে বৈধ নথি আছে, তাঁদের যাতে বিনা বাধায় কাবুল ছাড়তে দেওয়া হয়, সেই ব্যবস্থা করার কথা বললেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। রাষ্ট্রপুঞ্জের বৈঠকে তিনি আফগানদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন। জানালেন, অতীতেও যে ভাবে আফগানদের পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত, এবারও সে ভাবেই দাঁড়াবে।
আফগানিস্তানের উদ্বেগজনক পরিস্থিতি নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের এক বৈঠকে এই বার্তা দিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী। তিনি আরও উল্লেখ করেন, আফগানিস্তানের যে ভাবে দারিদ্র্য বাড়ছে তাতে আঞ্চলিক অস্থিরতা তৈরি হতে পারে। তিনি বলেন, ‘প্রতিবেশী হিসেবে আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ভারতের জন্যও চিন্তার বিষয়। এর ফল ভুগতে হতে পারে অন্যান্য দেশকেও।’ উল্লেখ্য, গত ৯ সেপ্টেম্বর এই সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে ইউএনডিপি-র তরফে। সেখানেই উল্লেখ করা হয়েছে কী চরম অর্থসঙ্কটের মুখোমুখি হতে পারেন আফগানরা। দেশ জুড়ে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ঘুরে দাঁড়ানোর কোনও সম্ভাবনা দেখছেন না বিশেষজ্ঞরা। জানানো হয়েছে, এ ভাবে চলতে থাকলে ২০২২-এর মধ্যে চরম দারিদ্র্যের মুখোমুখি হবে অন্তত ৯৭ শতাংশ আফগান।
আরও পড়ুন: স্মৃতি সৌধে বড় বড় অক্ষরে লেখা TALIBAN! ৯/১১-র ২০ বছর পর এ কোন বার্তা আমেরিকায়?
আফগানদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে বিমান চলাচলও স্বাভাবিক হওয়া প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, কাবুল বিমানবন্দরে বিমান চলাচল স্বাভাবিক হলে ত্রান সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে। এ ছাড়া আফগানরা যাতে চাইলে দেশ ছাড়তে পারে, সেই সুরক্ষা থাকা প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করেন বিদেশমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘যে সব আফগান দেশ ছেড়ে চলে যেতে চান, তাঁদের সেই সুযোগ দেওয়া উচিৎ। কোনও বাধা দেওয়া উচিৎ নয়।’
বিদেশমন্ত্রী মনে করিয়ে দেন ভারতের আফগানদের পাশে থাকার ইতিহাস পুরনো। আফগানিস্তানের ৩৪টি প্রদেশে ছড়িয়ে আছে ভারতের তরফ থেকে করা নানা উন্নয়নমূলক কাজ। তিনি বলেন, ‘উদ্বেগজনক এই পরিস্থিতিতে ভারত আফগানদের পাশে থাকতে চায়। আন্তর্জাতিক স্তর থেকেই সেই সাহায্য আসা উচিৎ।’ তিনি মনে করেন, সব দেশ এগিয়ে এলে আফগানদের মানবাধিকারের ক্ষেত্রে সমর্থনটুকু পাওয়া সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: Modi Biden meet: সেপ্টেম্বরেই মুখোমুখি হবেন মোদী-বাইডেন, চিনের বিরুদ্ধে একজোট হওয়ার বার্তা!