প্রয়াত অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ, ‘বিশ্বাস হচ্ছে না’, লিখলেন সর্বানন্দ সোনোয়াল
সোমবার বিকেল ৬টা নাগাদ গুয়াহাটির এক বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন অসম কংগ্রেসের এই মহীরুহ, পরপর তিনবার বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করে টানা ১৫ বছর অসমের মুখ্যমন্ত্রী (Former Assam CM) ছিলেন তিনি
TV9 বাংলা ডিজিটাল: চলে গেলেন অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ (Tarun Gogoi)। সোমবার বিকেল ৬টা নাগাদ গুয়াহাটির এক বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন অসম কংগ্রেসের এই মহীরুহ।
মাসকয়েক আগে করোনায় (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁর রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও কোভিড পরবর্তী কোমর্বিডিটির জেরে একে একে বিকল হয়ে পড়েছিল ফুসফুস ও কিডনি। মস্তিষ্কেও সংক্রমণ পৌঁছে যায় এবং স্নায়ুতন্ত্রে আঘাত হানে। দীর্ঘ সময় ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। গত এক সপ্তাহ যমে-মানুষে টানাটানি চলে। সোমবার সন্ধেবেলা লড়াই শেষ হয় ৮৬ বছর বয়সী তরুণ গগৈয়ের।
২০০১ থেকে ২০১৬, পরপর তিনবার বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করে টানা ১৫ বছর অসমের মুখ্যমন্ত্রী (Former Assam CM) ছিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার হারানোর পরও রাজ্যে কংগ্রেসের স্টিয়ারিং ধরে রেখেছিলেন নিজের হাতে। লোকসভা ও রাজ্যসভা মিলিয়ে ৬ বার নির্বাচিত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: দক্ষিণে একধাক্কায় পারদ নামল ৩ ডিগ্রি, বৃষ্টিতে ভিজতে পারে কালিম্পং
তরুণ গগৈয়ের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন অসমের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী সর্বান্দন সোনোয়াল (Sarbananda Sonowal)। টুইটে তিনি লেখেন, ‘প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর প্রয়াণে হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে সমবেদনা জানাই। তরুণদা ছিলেন এক সুবিশাল রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। অসমের মানুষের কাছে এটা একটা যুগের অবসান। কয়েকদিন আগে পর্যন্তও কী প্রাণবন্ত এবং জীবনশক্তিতে ভরপুর ছিলেন তিনি। এই দুঃসংবাদ বিশ্বাস করতে পারছি না।’
I express heartfelt condolences on the demise of former Chief Minister, a tall leader & our most respected Tarun Gogoi da. It’s the end of an era in Assam’s public life. He was so vibrant and full of life until a few days back, couldn’t believe this sad news. pic.twitter.com/GFiAsmc4FB
— Sarbananda Sonowal (@sarbanandsonwal) November 23, 2020
উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজনীতির অন্যতম স্তম্ভ বললে ভুল হবে না তরুণ গগৈকে। বাস্তবেই তাঁর প্রয়াণে শেষ হল অসম রাজনীতির একটি বিরাট যুগ। শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজনৈতিক মহলে।