নয়া দিল্লি: রাজনীতি জীবনের একটা বড় অংশ জুড়েই ছিল কংগ্রেস। দলের মঙ্গল কামনায় তিনি একাধিক পরিবর্তনের সুপারিশও করেছিলেন, কিন্তু জবাব মেলেনি কোনও। সেই কারণেই দল ছাড়লেন প্রবীণ নেতা তথা আইনজীবী কপিল সিব্বল। মঙ্গলবারই তিনি সমাজবাদী পার্টির সমর্থন নিয়ে রাজ্যসভায় প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দেন। মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর তিনি নিজেই জানান যে, গতকাল নয়, কংগ্রেস ছেড়েছেন গত ১৬ মে। একইসঙ্গে তিনি এও জানান যে, দলের বিরুদ্ধে আর কোনও ক্ষোভ নেই তাঁর, তবে সময় এসেছে এগিয়ে যাওয়ার।
নির্দল প্রার্থী হিসাবে রাজ্যসভায় মনোনয়ন জমা দিলেও, প্রবীণ নেতা পাশে পেয়েছেন সমাজবাদী পার্টিকে। গতকাল উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবকে পাশে নিয়েই তিনি মনোনয়ন পত্র জমা দেন। বিক্ষুদ্ধ এই প্রাক্তন জি-২৩ নেতাকে কংগ্রেস ছাড়ার কারণ জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, “আমি দেশের স্বাধীন কন্ঠ হতে চাই। বর্তমানে সংসদে কোনও স্বাধীন কন্ঠ নেই। সকলেই কোনও না কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত এবং সেই কারণে নিজের চিন্তাভাবনা স্বাধীনভাবে তুলে ধরতে পারেন না।”
তিনি আরও বলেন, “দেশের আসল সমস্যা নিয়ে কেউ চিন্তিত নন। সকলেই শুধু রাজনীতি করতেই ব্যস্ত। আমি কংগ্রেস ৩০-৩১ বছর ছিলাম এবং দলের জন্য আমার সেরাটুকু দিয়েছি। আমার কোনও রাগ নেই, ক্ষোভ নেই বা আক্ষেপও নেই। আমার সময় এসেছে এগিয়ে চলার, সেই কারণেই আমি দেশের স্বাধীন কন্ঠ হতে চেয়েছি।”
এক সময় দলে একাধিক পরিবর্তনের দাবি জানালেও, ইস্তফা দেওয়ার পরই কপিল সিব্বল সাফ জানিয়ে দেন যে, কংগ্রেসের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা দলই স্থির করবে। কীভাবে তারা দলকে পুনর্জ্জীবীত করবে, জাতীয় রাজনীতিতে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে তারা কোন নীতি অনুসরণ করে এগোবে, তাও কংগ্রেসকেই স্থির করতে হবে বলে জানান।
সমাজবাদী পার্টির সমর্থনে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার প্রসঙ্গেও কপিল সিব্বল জানান যে, সপা তাঁকে সমর্থন করেছে, এটা তাদের উদারতা। কিন্তু তিনি রাজ্য়সভায় স্বাধীন প্রার্থী হিসাবেই যেতে চান। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিরোধীদের একজোট করার কাজও শুরু হয়েছে বলে জানান প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা। তিনি বলেন, “সমস্ত বিরোধী দলগুলিকে একমঞ্চে আনার চেষ্টা করছি আমি। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রস্ততি নেওয়া উচিত আমাদের। বিজেপিকে হারাতে সমস্ত বিরোধী দলগুলির একজোট হওয়া উচিত।”