করোনায় প্রয়াত প্রাক্তন মন্ত্রী তথা আরএলডি নেতা অজিত সিং, শোকস্তব্ধ প্রধানমন্ত্রী-প্রতিরক্ষামন্ত্রী

তাঁর পুত্র জয়ন্ত চৌধুরী টুইট করে জানান, গত ২০ এপ্রিল তিনি করোনা আক্রান্ত হন। গুপৃরুগ্রামের মেদান্ত হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল। এ দিন সকালে তাঁর প্রয়াণ হয়।

করোনায় প্রয়াত প্রাক্তন মন্ত্রী তথা আরএলডি নেতা অজিত সিং, শোকস্তব্ধ প্রধানমন্ত্রী-প্রতিরক্ষামন্ত্রী
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: May 06, 2021 | 11:05 AM

নয়া দিল্লি: প্রয়াত হলেন প্রবীণ রাজনৈতিক নেতা অজিত সিং। তিনি রাষ্ট্রীয় লোক দলের সভাপতি ছিলেন। সম্প্রতি তিনি করোনা আক্রান্ত হয়ে মেদান্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে সেখথানেই তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর।

এ দিন সকালে তাঁর পুত্র জয়ন্ত চৌধুরী টুইট করে জানান, ” গত ২০ এপ্রিল চৌধুরী অজিত সিংজী  করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। তিনি শেষ অবধি যুদ্ধ চালিয়ে গিয়েছেন এবং আজ সকাল  ছ’টায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। গোটা জীবন ধরে চৌধুরী সাহিবকে বহু মানুষ ভালবেসেছেন এবং সম্মান দিয়েছেন। তিনিও সকলের সঙ্গে এই সুসম্পর্ক বজায় রেখেছেন  এবং সাধারণ মানুষের উন্নয়নে যথাসাধ্য প্রচেষ্টা চালিয়েছেন।”

তাঁর প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে বিভিন্ন নেতা-মন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী টুইট করে লেখেন, “প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী চৌধুরী অজিত সিংজীর প্রয়াণে অত্যন্ত দুঃখিত। উনি আমাদের দেষশের কৃষকদের হিতকামনায় সর্বদা সমর্পিত ছিলেন। উনি কেন্দ্রের বিকাশ ও উন্নয়নের দায়িত্বগুলিও অত্যন্ত কৌশলগতভাবে পালন করেছেন। দুঃখের এই সময়ে ওনার পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। ওম শান্তি।”

অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও টুইট করে লেখেন, “চৌধুরী অজিত সিং.য়ের মৃত্যুর খবর অত্যন্ত দুঃখজনক। ওনার দীর্ঘ জীবন ধরে তিনি সর্বদা জনগণ ও দেশের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। একই সঙ্গে তিনি কৃষক, শ্রমিক এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির স্বার্থের জন্য লড়াই করেছিলেন। ওঁনার শোকাহত পরিবার ও সমর্থকদের প্রতি আমার সমবেদনা। ওম শান্তি!”

দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী চৌধুরী চরণ সিংয়ের ছেলে ছিলেন। উত্তর প্রদেশের বাগপত কেন্দ্র থেকে সাতবারের বিধায়কও ছিলেন তিনি। খড়গপুর আইআইটির প্রাক্তনী অজিত সিং ১৯৮৬ সালে প্রথমবার রাজ্য়সভায় নির্বাচিত হন। ১৯৮৯ সাল থেকে তিনি বাগপত কেন্দ্র থেকে লোকসভা নির্বাচনেও দাঁড়ান। সেই বছরই তিনি শিল্পমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পরবর্তী সময়ে পিভি নরসিমহা রাওয়ের সরকারে খাদ্যমন্ত্রী হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
১৯৯৬ সালে তিনি কংগ্রেস ত্যাগ করে রাষ্ট্রীয় লোক দল গঠন করেন এবং ২০০১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর  সরকারের অধীনে কৃষি মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৩ সাল অবধি তিনি এনডিএ জোটের অংশ ছিলেন।
২০১১ সালে তিনি ইউপিএ সরকারের সঙ্গে জোট বাঁধেন এবং কেন্দ্রীয় অসামরিক উড়ানমন্ত্রী হন।