দেশ: উত্তর-পূর্বের ছোট্ট রাজ্য। জনসংখ্যা মেরে কেটে ১২ লাখ। সেই মিজোরামই (Mizoram) এখন করোনা আকান্তের (Corona Case) সংখ্যায় দেশের মধ্যে চতুর্থ। কেরল, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ুর পর করোনা সংক্রমিত সংখ্যার নিরিখে চতুর্থ স্থান নেওয়া মিজোরামকে নিয়ে চিন্তায় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। জানা যাচ্ছে, উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যটিতে ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতাল রয়েছে মাত্র একটি। আরটিপিসিআর টেস্ট ল্যাবরেটরির সংখ্যাও একটি।
রিপোর্ট বলছে, গত ২০ দিনের মধ্যে মিজোরামে ২৪ হাজারের বেশি করোনা সংক্রমিতের সন্ধান মিলেছে। যা বিশ্বব্যাপী করোনা অতিমারি শুরু থেকে রাজ্যের পুরো করোনা সংক্রমণের প্রায় ৩০ শতাংশ বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এবং গত ৩ সপ্তাহের মধ্যে এই সংখ্যক মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা যাচ্ছে করোনা ভাইরাস নিয়ে সাধারণ মানুষের উদাসীনতা, করোনা বিধি যথাযথ ভাবে না মানা এবং অত্যন্ত সংক্রামক ডেল্টা ভেরিয়েন্টের উপস্থিতির ফলে মিজোরামে করোনাভাইরাস সংক্রমণ হার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
গত এপ্রিল মাস থেকেই মিজোরামের অবস্থা সঙ্কটপূর্ণ হচ্ছিল। মাঝেমাঝেই দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা ছাড়াচ্ছিল এক হাজার। এখন যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে রীতিমতো দিশেহারা প্রশাসন। আর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, মিজোরামে মঙ্গলবার একদিনের জন্য সর্বাধিক সংক্রমণ সংখ্যা চিহ্নিত হয়েছে। ৩২৪ জন শিশু সহ মোট ১,৮৪৬ জন করোনা পজিটিভ হয়েছে এই রাজ্যে।
ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোলের (এনসিডিসি) -র পরামর্শদাতা এপিডেমিওলজিস্ট চিকিৎসক বিনীতা গুপ্তার নেতৃত্বে একটি দল বৃহস্পতিবারই যাচ্ছে মিজোরামে। ভারত-মায়ানমার সীমান্তের চাম্ফাই জেলাও পরিদর্শনও করবেন তাঁরা। এখানে প্রতিবেশী দেশ থেকে আসা হাজার হাজার শরণার্থী বসবাস করছেন। এই প্রেক্ষিতে বিশেষজ্ঞ দল মিজোরামে কোভিড-১৯ রোধে আরও শক্তিশালী ব্য়বস্থার উদ্যোগ গ্রহণ করতে পরামর্শ দিয়েছে।
প্রত্যেক জেলায় অন্তত একটি করে হাসপাতালে করোনা রোগীর জন্য আলাদা করতে পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। কিন্তু বর্তমানে মিজোরামে বর্তমানে একটি মাত্র কোভিড-১৯ হাসপাতাল। যার নাম জোরাম মেডিকেল কলেজ (জেডএমসি)। যেখানে আইসিইউতে মাত্র ৩৪টি বেড আর ৩৪১টি জেনারেল বেড রয়েছে। তাছাড়া আরটি-পিসিআর ল্যাবরেটরিও সংখ্যাও মাত্র একটি!
আরও পড়ুন: Bonus for Rail employees: করোনা কালে অসামান্য কাজ, ৭৮ দিনের বোনাস পাচ্ছেন রেলকর্মীরা
এদিকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে (India) নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ হাজার ৮৩৩ জন। গতকাল সেই সংখ্যাটা ১৮ হাজার ৩৪৬ এসে দাঁড়ায়। এদিকে আবার করোনাকে হারিয়ে দেশে সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৪ হাজার ৭৭০ জন। গতকাল সেই সংখ্যাটা ছিল ২৪ হাজার ৬৩৯ জন।
আরও পড়ুন: Consent for Sex: যৌনতায় সম্মতি মানেই নারীর প্রজননের অধিকারে হস্তক্ষেপ নয়, পর্যবেক্ষণ আদালতের