নয়া দিল্লি : হলুদ সতর্কতা জারি রয়েছে। তাও রাজধানীতে ঠেকানো যাচ্ছে না করোনার সংক্রমণ। বর্ষবরণের রাতে দিল্লিতে চেনা ছবি একেবারেই দেখা যায়নি। দ্বিতীয় ঢেউয়ের বীভিষিকার কথা ভুলে যাননি দিল্লিবাসী। তাই রাজধানীর বর্ষবরণ ছিল অনেকটাই ছিমছাম। কিন্তু এত সবের পরেও লম্বা লাফ দিল করোনা। নববর্ষের দিনে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে করোনার দৈনিক সংক্রমণ। শেষ ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ২ হাজার ৭১৬ জন।
এর পাশাপাশি উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে করোনা পরীক্ষায় পজিটিভ আসার হারও। দিল্লির সর্বশেষ করোনা বুলেটিন অনুযায়ী, রাজধানীতে যতগুলি নমুনার পরীক্ষা করা হয়েছে, তার ৩.৬৪ শতাংশের নমুনা পরীক্ষায় করোনা ধরা পড়েছে।
শনিবার যে হারে সংক্রমণ বেড়েছে দিল্লিতে, তা সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যায়নি। এর আগে ২১ মে দিল্লিতে ৩ হাজারের কিছু বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন, সংক্রমিতের হার ছিল ৪.৭৬ শতাংশ। সেই দিন ২৫২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন। উল্লেখ্য, শুক্রবার বর্ষবরণের রাতে দিল্লিতে ১ হাজার ৭৯৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। পজিটিভিটি রেট ছিল ১.৭৩ শতাংশ। বৃহস্পতিবার, সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, পজিটিভিটি রেট ছিল ২.৪৪ শতাংশ এবং দৈনিক সংক্রমণ ছিল ১ হাজার ৩১৩ জন।
উল্লেখ্য, দিল্লি বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের (Delhi Disaster Management Authority) নির্দেশিকা অনুযায়ী, আপাতত দিল্লিতে সমস্ত অফিসে ৫০ শতাংশ হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্কুল, কলেজ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়াও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সিনেমা হল, জিম। মলের বিভিন্ন দোকান ও সাধারণ দোকান খোলা হবে জোড়-বিজোড় হিসেবে। রাত ১০টা থেকে ভোর ৫টা অবধি জারি থাকবে নৈশ কার্ফু। দোকানগুলির সময়সীমাতেও পরিবর্তন আনা হয়েছে, সকাল ১০টায় দোকান খোলা ও রাত ৮টার মধ্যে তা বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে প্রাক্টিকাল পরীক্ষা, প্রজেক্ট ও অ্যাসাইনমেন্ট অনলাইনেই করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল কয়েকদিন আগেই জানিয়েছিলেন, সংক্রমণের হার ও হাসপাতালে বেডের সংখ্যার উপর নির্ভর করেই ধাপে ধাপে বিধিনিষেধ কঠোর বা শিথিল করা হবে। এটিকে গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান বলা হচ্ছে। তবে দিল্লিবাসীকে এখনই উদ্বিগ্ন হতে বারণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আক্রান্তদের অধিকাংশই উপসর্গহীন, তাই চিন্তার কারণ নেই। তবে স্বাস্থ্যবিধি সকলকেই মেনে চলতে হবে। বাজারে অনেকেই মাস্ক ছাড়া ঘুরছেন, আপনারা যদি মাস্ক না পরেন, তবে বাজার বন্ধের মতো কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে।”
আরও পড়ুন: Mumbai COVID-19 Cases: নববর্ষেই সংক্রমণের হাই জাম্প, মুম্বইতে একদিনেই আক্রান্ত ৬ হাজারের বেশি!